নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৫ তারিখ পরবর্তী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পরে অদ্যবধি রোয়াংছড়ি উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদা সংগ্রহ সহ আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়. এছাড়াও অত্র অঞ্চলের হাট-বাজার সোমবার কেন্দ্রিক হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী পুলিশ সহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হয়,বান্দরবান রুমা মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি অঞ্চল রোয়াংছড়ি হওয়ায় অত্র এলাকায় যানবাহন সহ মানুষজনের আনাগোনা সচরাচর থাকে যার ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সহ নাবালক চালক ফিটনেস বিহীন গাড়ি সহ অবৈধ মালামাল মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও অস্ত্রের অবাধ সরবরাহ বন্ধে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ০৬ টা থেকে রোয়াংছড়ির ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইয়াসিন নেতৃত্বে একটি টহল দল, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আলমগীর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমান টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় সকাল নয়টা হতে অতিরিক্ত কমিশনার ভূমি,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।এ সময় অবৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর কাগজ বিহীন চালকের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ কঠিন আইনের ব্যবস্থা করা হয়।
যানবাহন দুর্ঘটনা হতে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদ রাখতে অবৈধ গাড়ি চালকদের সচেতন করা সহ আর্থিক জরিমানা করায় ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা কমে যাবে এবং এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলান স্থিতিশীল থাকবেন,জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে যা অত্র এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলে সুশীল সমাজ মনে করে।
উপজেলা প্রশাসন সহ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ উপস্থিতে পরিস্থিতি ও এলাকায় অনুপ্রবেশকারীসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি অনেকাংশের রাস পাবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মানুষ।
আরও পড়ুন >>>নাইক্ষ্যংছড়িতে নাশকতাকালে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা আটক