নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিবাদমান পাহাড়ি দুই সশস্ত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায়,একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। নিহত ব্যক্তি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত দলের পানছড়ির সংগঠক বলে দাবি ইউপিডিএফের
নিহতের নাম মিটন চাকমা (৩০)। তিনি জেলার দীঘিনালা উপজেলার উদোল বাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। মিটন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
রোববার(১০ নভেম্বর)ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত জেলার পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুদকছড়া ভারতবর্ষ পাড়ায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এদিকে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) একদল সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে গুলি লেগে মিটন চাকমা দুপুর ১২টার দিকে মারা যায়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তিনি ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগদান করেন।
বিবৃতিতে অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মিটন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জসিম জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত:এর আগে ৩০ অক্টোবর একই উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি শান্তি রঞ্জন পাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহতের ঘটনা ঘটে।
(আরো পড়ুন)