চনুমং মারমা,রুমাঃরুমা-বান্দরবান সড়কের ৪৫টি বেইলি সেতুর সবকটিই ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বান্দরবানে রুমা উপজেলা থেকে বান্দরবান সদর পর্যন্ত পৌঁছতে রাস্তায় অনেক বেইলি ব্রিজের পাটাতন নষ্ট ঝুকিঁপূর্ণসহ রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে ২০হাজারের মানুষ । ৪৫কিলোমিটার সড়ক বেয়ে বান্দরবান সদর পেঁৗছতে ৪৭টি বেইলি ব্রিজের মধ্যে এক থেকে দুইটি উপযোগী ব্যতিরেকে সবকটিই ব্রিজ একেবারে ঝুকিঁপূর্ণ মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,যে কোন মূর্হুতে ঝুকিঁপূণ ব্রিজগুলো ডেপে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই প্রতিটি ব্রিজের সংলগ্নের ২০ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতর্ৃক ৫টনের অধিক মালবাহী গাড়ির চলাচলের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধসহ বিপদ সংকেত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে সর্তক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। মূলত ১৬ ও ২০ ইসিবি সড়ক উন্নয়ন ও মেরামত কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বাস, ট্রাক, সিএনজি, মাহিন্দ্রাসহ মটর সাইকেল আসা যাওয়া রয়েছে।
রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত আর চারেদিকে ঝোপঝাড়ের ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বান্দরবান শহরের পৌঁছতে চরম বিলম্বিত হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক সমিতি।
সরকারের কোষাগারে অত্র এলাকার কাঠ ও কাচঁামাল আমদানি রপ্তানি থেকে ভ্যাট,ট্যাক্স আয় হচ্ছে দিনের পর দিন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রশাসন বিভাগ সু-নজর দিচ্ছে না বলে এমনটাই মনে করছেন এলাকার সচেতন নাগরিকগণ।
রুমা বাজার সংলগ্ন থেকে বান্দরবান শহর রাস্তার বেহাল দশা বিষয়ে রুমা জোনের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান শাহরিয়ার ইকবাল পিএসসি সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার ব্রিজ খুবই ঝুকিঁপূর্ণ! সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তরের অবগত করেছি কিন্তু এখনো কোন ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না।
এসব সেতুর মধ্যে ওয়াইজংশন-রুমার অংশের ৩৬টি সেতু অতিরিক্ত ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বরাদ্দ না আসার সেতুগুলো খুলে নতুন করে নিমার্ণ করা যাচ্ছে না, আমরা উদ্ধর্তন কতর্ৃপক্ষ কাছে অবগত করেছি। এখনও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি, কবে নাগাদ কাজ হবে তা বলা যাচ্ছে না। বছরের যে বাজেট গুলো আসে তা দিয়ে বেইলি রাস্তার কাজ করার সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকার ২০ইসিবি কর্মকর্তা সিও আমজাদ।