নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি নির্ভর দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি ও কৃষক বান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উপকরণ কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করেছে। আজ সেই খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ-ই দেশের কৃষি ও কৃষকে বাঁচাতে কৃষি খাতে ব্যাপক ভতুর্কি দিয়েছেন সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখহাসিনা সরকারের আমলে বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষকদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছে ।
তিনি আরো বলেন, কৃষিকে লাভজনক করতে হলে আনারস, আম, ড্রাগন ফল, কাজু বাদাম, কফি, গোলমরিচসহ বিভিন্ন জাতের আমের ফসলের বাগান সহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসলের চাষ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ‘কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কাজু বাদাম, কফি, গোলমরিচসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষ করতে হবে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসবের বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে।
১৯ জুন শনিবার দুপুরে বান্দরবানের রুমায় মুনলাই পাড়া সেন্টারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় কৃষকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রী ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি ।
এ সময় পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,বকৃষি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ী এর মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, বিএ ডিসির চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার বান্দরবানে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক একে এম নাজমুল হক সহ গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বসাধারণ গণমাণ্যব্যক্তি বর্গ উপস্তিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী কাজুবাদাম, কফি বাগান ও অন্যান্য ফল বাগান পরিদর্শন করেন। এর আগে মুনলাই পাড়ায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন, পরে থানচি উপজেলার উদ্দেশ্যে রুমা ত্যাগ করেন।