জেলা পরিষদ উদ্যোগে চলমান প্রকল্পে চাঁদা দাবির অভিযোগ
বান্দরবানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বালাঘাটা স্বর্ণ মন্দির ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, বর্তমানে আমাদের পাড়ায় প্রায় ২শ পরিবার রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় আমাদের এলাকাটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হওয়ার পরও আমাদের যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। দীর্ঘ বছর ধরে আমরা অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করে আসছি। বিশেষ করে এলাকার কোন বাসিন্দা গুরুত্বর অসুস্থ হলে কাঁধে করে অনেক দুর হেটে রাস্তায় এনে হাসপাতালে নিতে হয়।
বক্তারা আরো বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্য বেশ কয়েকবার টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আমাদের রাস্তাটি না হয়ে অন্য জায়গায় রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। সর্বশেষ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পশ্চিম বালাঘাটা ১নং ওয়ার্ডের চন্দ্রঘোনা সড়ক হতে হাজী নুরুল আলম এর বাড়ী হয়ে অংসিংপ্রু রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় পাড়ার রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্য টেন্ডার হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারের প্রতিনিধিরা রাস্তাটি নির্মাণ করতে আসলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ইটভার মালিক মাকসুদুল আলম কোম্পানী ও তার ভাতিজা দিদারুল করিম রাস্তা কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ঠিকাদারের প্রতিনিধিদের মারধরের হুমকিসহ চাঁদা দাবী করে। এছাড়াও বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাদের এমন কাজের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যদি ভবিষ্যতে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা করে তাহলে এলাকার সাধারণ জনগন তা কঠোর হস্তে দমন করবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
জানাযায়, স্বর্ণ মন্দির ব্রিজ সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও বারবার আবেদন করার পরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অবশেষে জেলা পরিষদ ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারের প্রকল্প গ্রহণ করলে এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরে আসে।
তবে কাজ শুরু হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী মকসুদুল কোম্পানি ও তার পরিবার নিজেদের জায়গার মালিকানা দাবি করে বাধা সৃষ্টি করেন। সংস্কার কাজের প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও অবশিষ্ট অংশে মাকসুদ কোম্পানির নেতৃত্বে তার ভাতিজা দিদারুল করিম গং চাঁদা দাবি, শ্রমিকদের ভয়ভীতি ও কাজ বন্ধের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে এবং সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে এলাকার জনভোগান্তি নিরসনের আহ্বান জানান।
এসময় মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সুনীল দে, মো: আজম, বাবু দে, বাসু দে’সহ এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
আরো পড়ুন→নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত