নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও বড় ধরনের মাদক চোরাচালান রুখে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে জামছড়ি বিওপি’র টহলদল অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার বার্মিজ ইয়াবা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল উদ্ধার করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) সূত্র জানায়, জামছড়ি বিওপি’র টহলদল নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত পিলার-৪৫ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে জামছড়ি নামক এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা কয়েকজনকে লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতর পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৯ হাজার ৬৬০ পিস বার্মিজ ইয়াবা, একটি মোবাইল ফোন ও ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ২৯ লাখ ২৫ হাজার ২০০ টাকা। বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই ঘটনায় ৬ জন চিহ্নিত পাচারকারীকে আসামি করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “আমাদের টহলদল সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাদক ও চোরাচালান রোধে বিজিবি’র অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধী কিংবা চোরাচালানকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিজিবির এ ধরনের তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “মাদক আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করছে। বিজিবির এই ধরনের কার্যক্রম সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বার্মিজ ইয়াবা ও অন্যান্য অবৈধ মালামাল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চলছে। তবে সাম্প্রতিক সময় বিজিবি’র ধারাবাহিক অভিযানে এসব কর্মকাণ্ড অনেকটাই হোঁচট খাচ্ছে।
আরো পড়ুন→বান্দরবানে মাত্র ৭০ হাজার টাকার জন্যে খুন করা হয় সৈয়দ নুর-কে: পুলিশ সুপার বান্দরবান