নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রাখা বীর প্রতীক সুবেদার মেজর রছিব আলীর স্মৃতি রক্ষায় অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে এই বীরের নামে।
গত রবিবার (২০ জুলাই) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে রেঞ্জটির নতুন নাম ‘বীর প্রতীক রছিব আলী ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জ’ ঘোষিত হয়। বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর দিকনির্দেশনায় এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।
নামফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. কে. এম. কফিল উদ্দিন কায়েস, ব্যাটালিয়নের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিজিবি সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, বীর রছিব আলীর আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর নামে ক্ষুদ্রাস্ত্র রেঞ্জের নামকরণ শুধু স্মৃতি সংরক্ষণ নয়, বিজিবি সদস্যদের মনোবল চাঙা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, “বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারা দেয় না, জাতির ইতিহাস ও বীরত্বগাথা সংরক্ষণেও অঙ্গীকারবদ্ধ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বীর রছিব আলী সম্মুখসমরে অসাধারণ সাহসিকতা ও নেতৃত্ব প্রদর্শন করে জাতীয় স্বাধিকার আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। তার এ বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে।
উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) দীর্ঘদিন ধরে দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্তে সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিরবচ্ছিন্ন পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
এই নামফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বিজিবির সদস্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও বীরত্বের প্রেরণা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।