নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৪ যুগ পরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু’র নির্দেশ দিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী নুজরুল ইসলাম। এই রাস্তাটি ১৯৮৭ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমানের আন্তরিকতায় উপজেলার সোনাইছড়ির সাথে যোগাযোগের জন্য সড়কটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে এই সড়কের উছিলায় নির্মিত হয় দেশের তৃতীয় যুলন্ত সেতুসহ পর্যটন কেন্দ্র।
তবে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হলেও বাকি রাস্তাটি সংস্কার বা নির্মাণের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করত সোনাইছড়ি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বসবাসরত মানুষের প্রচেষ্টাই ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলীর আন্তরিকতায় মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী উপজেলা প্রকৌশলী উপস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটন কেন্দ্র উপবন লেখ হইতে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত ২ কিলি ৫০০ মিটার রাস্তার ড্রয়িং ডিজাইন অনুসারে কাজ শুরুর অনুমতি দেন, এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা লিমিটেডকে। যার ভেন্ডার আইডি নম্বর ১০১১৩৭৯। এ রাস্তায় চলাচলকারী হাজী ইসমাইল, আবু হান্নান, রহিমা খাতুন, আরিফ উল্লাহ, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আবু তাহের, নুরুল আলম মেম্বার, মোঃ শফি সহ অনেকে বলেন,এই রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কার হলে নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত অনেকটা সহজ হবে এবং সোনাইছড়িতে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বাজার যাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তারা।
কাজ পাওয়া ঠিকাদারির প্রতিনিধি মাওলানা সুলতান আহমদ জানান, রাস্তাটি দীর্ঘ চার যুগ ধরে পড়ে থাকায় খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা,এই রাস্তাটি করতে স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা থাকলে অতি শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
রাস্তাটি বাস্তবায়ন নির্দেশ প্রধান কালে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকৌশলী, সাফি স্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রুবেল, কার্য সহকারী নাছির উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আরেফ উল্লাহ চুট্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দল আলিম বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌঃ সোমলতা আহমেদ, সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ ইউনুছ, সদস্য সচিব জহির আহমেদ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন>>>সীমান্ত চোরাচালান রোধে সকলকে কাজ করতে হবে: ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ