নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে উপজেলার সকল শাখার দায়িত্বশীলদের নিয়ে আঞ্চলিক দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম, এ কালাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমীর মাষ্টার মুহাম্মদ আবদুল গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস সুরা সদস্য ও বান্দরবান জেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা এস, এম আবদুচ সালাম আজাদ।
এসময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাওলানা ইদুল আমিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি রফিক বশরী, বান্দরবান জেলা মজলিসের সুরা সদস্য ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক সিরাজী,মজলিস সুরা সদস্য ও নাইক্ষ্যংছড়ি জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাসের,
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর রফিক আহাম্মেদ,জামায়াতে ইসলামি সাবেক সেক্রেটারি ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাব সাবেক সেক্রেটারি সাংবাদিক মাহামুদুল হক বাহাদুর,বান্দরবান জেলা আর্দশ শিক্ষা পরিষদ ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক হামেদ হাসান,নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদ মুদাররিস মাওলানা বশির উদ্দীন, ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুস শাকুরসহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী বিভাগীয় পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্টিত সমাবেশ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অধির আগ্রহে সিনিয়র বক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ আত্ম-গঠন,কর্মী গঠন ও নেতৃত্বদানের ট্রপি গুলো উপস্থিত নেতা-কর্মীরা শ্রবণ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। পরিকল্পিতভাবে পুলিশ প্রশাসনকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করে দলীয় সন্ত্রাসে পরিণত করে আসছিল। সরকার আন্দোলন দমাতে জামায়াতে ইসলামীর মতো দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, হামলা, মামলা ও নির্যাতন করে যাচ্ছিলো।
জনমত যাচাই-বাছাই না করে ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীসহ অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করেছিলো। সাধারণ মানুষকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতদ সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী সংগঠনটি পূনরায় সাংগঠনিক কাজ করার রায় দেন। তৃণমূলের সাধারণ জনগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে ।
আরো পড়ুন>>>বান্দরবানে পাহাড়ে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে সম্প্রীতির মিছিলের আয়জন।