নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অভিযান জোরদার করেছে।
চোরাকারবারীদের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় রাত-দিন এ অভিযান চালাচ্ছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় বিজিবি জোয়ানরা শনিবার রাতে পৃথক অভিযানে জব্দ করে বিপুল পরিমান ইউরিয়া সার ও অকটেন।
পৃথক অভিযানে জব্দ করা হয় বিভিন্ন প্রকার চোরাইপণ্য আর খাদ্য সামগ্রীও।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিজিবি সূত্র আরো জানায় রবিবার (৬ অক্টোবর) ও শনিবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেম্বুছড়ি, জারুলিয়াছড়ি, ফুলতলী এবং ভালুখাইয়া বিওপি কর্তৃক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন ১১ বিজিবি জোয়ানরা ।
এ সময় চোরাকারবারীরা বাংলাদেশ হতে মিয়ানমার পাচারকালে মালিকবিহীন ২২ বস্তা ইউরিয়া সার, ৫০ কেজি টেস্টিং সল্ট,১৭০ লিটার অকটেন,৪৮০ প্যাকেট বিস্কুট,১০০০ পিস শ্যাম্পু, ২০ প্যাকেট সাবান, ৬০০ প্যাকেট সিগারেট। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারকালে ৫টি বার্মিজ গরু জব্দ করে।
জব্দকৃত এ সব মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য-পাঁচ লক্ষ তিয়াত্তর হাজার একশত টাকা।
জব্দকৃত মালিকবিহীন বার্মিজ গরু নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিলাম এবং অন্যান্য মালামাল কাষ্টমস অফিসে জমা দেয়া হয়। পাশা পাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ সাহল আহমেদ নোবেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে চোরাকারবারীরা অপতৎপরতা চালালেও তেমন সুবিধা করতে পারছে না। কেননা ১১ বিজিবি জোয়ানদের কঠোর অবস্থান থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সীমান্তের গুরুত্ব গ্রামে বা এলাকায় সমাবেশ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সীমান্ত জুড়ে অভিযান জেরদার করা হয়েছে,যেন কোন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ড হতে না পারে।