নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সদ্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ,নিজের ব্যক্তিগত ফেইবুক আইডি থেকে, ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে জেলা পরিষদ টা কারো না কারো বাপ দাদার সম্পত্তি ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি জাতি গঠনের মাধ্যম কিন্তু এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় সব চেয়ে বেশি তেলসমতি কাজ করেছে জেলা পরিষদ।
২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জনাব শফি উল্ল্যা সাহেব যত জন নিয়োগ করেছেন তিনি প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এই নিয়োগ বাণিজ্যর মাধ্যমে অপদার্থ শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে যারা কিছুই জানেন না,পড়ালেখা জানেনা। নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা সাহেবের হাতে পায়ে ধরে প্রশ্ন পত্র নিয়ে আসতেন জনাব শফি উল্ল্যা সাহেব, সেইরকম একটি প্রশ্ন আমার হাতে আছে যা আমি আপনারা চাইলে দিতে পারি আপাতত আমি দিচ্ছিনা কারণ ওই নিয়োগ পরীক্ষায় অনেকেই মেধা দিয়ে টিকেছেন।
কিন্তু যারা টাকা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন তারা শিকার করুন কত টাকা কাকে দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন না হয় আমি আপনাদের ছবি সহ প্রকাশ করতে বাধ্য হবো এবং এটাও বলছি যদি আপনি মেধার মাধ্যমে আসেন আপত্তি নেই কিন্তু টাকার মাধ্যমে যেইসব অপদার্থ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন “সৈফুল্লা সাহেব” তাদের থেকে নুতন ভাবে আবার নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের কাছে। যদি তারা সত্যিকারের মেধা দিয়ে নিয়োগ পেয়ে থাকে অবশ্যয় তারা আবার নিয়োগ পাবে। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই যদি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেয়ে থাকে তাইলে একটা জাতিকে তো ধ্বংস করা যায়না।
একটা স্বাভাবিক চিন্তা চেতনার মানুষ কখনও এটা মেনে নেবেনা। যারা যারা নিয়োগ পেয়েছেন দয়া করে আপনারা বলুন কত টাকার মাধ্যমে কাকে দিয়ে আপনারা নিয়োগ পেয়েছেন এবং যারা মেধা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও টাকা দিয়ে নিয়োগ পেতে হয়েছে দয়া করে আপনারা প্রকাশ করুন। আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের আমরা পদক্ষেপ নিবো ওই নিয়োগ বাণিজ্যর সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
তিনি নিজের সর্ম্পকে বলেন,আমি ২০১০,২০১১,২০১২ সালে জেলা পরিষদের নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলাম,সেই সময় আমি লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম ইসমাইল সাহেব ও আলীকদম উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালামের অনুরোধে নাইক্ষ্যংছড়ি সহ তিন উপজেলার দায়িত্ব পালন করেছি আমার আমলে যারা এই তিন উপজেলায় নিয়োগ পেয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাদের বিনয়ের সাথে বলছি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের দুর্নীতির ও কারো থেকে টাকা নেয়ার প্রমাণ দিতে পারলে আপনারা যেই শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিবো।