নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ অতিবৃষ্টিতে বিদ্যুতের ৫ টি খুঁটি হেলে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৩৪ গ্রাম এখন অন্ধকারে।
শনিবার ( ১৭ আগষ্ট ) সকাল ১১ টা থেকে এ সব গ্রামের অন্তত: ৫ হাজার মানুষ এখন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যে আবদুর রহমান বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অন্যতম প্রধান চাকঢালা সীমান্ত সড়ক।
সড়কের মাঝের হেডম্যান পাড়া থেকে খালেদা বাপের ব্রীজ এলাকা পর্যন্ত সড়কে প্রথমে ১ টি খুঁটি শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে হেলে পড়ে। এর পরপর ১২ ঘন্টার মাথায় আরো ৪ টি খুঁটি হেলে পড়ে।
তখনও বিদ্যুৎ ছিল এ লাইনে। শনিবার সকাল ১০ টার পর বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ১১ টার দিকে তারা জন নিরাপত্তার কারণে লাইন বন্ধ করে দেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় এ সংবাদ লেখাকাল অবধি এ লাইনের সংস্কার কাজ চলমান।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন,বৃষ্টির কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ার পর তিনি দ্রুত বিদ্যুৎ বিভাগকে সাথে যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এরই মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ বিভাগকে অতিদ্রুত খুঁটি গুলো উঠিয়ে সোজা করে বিদ্যুতের লাইন চালু করার নির্দেশ দেন।
ওই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত এখন। সদর ইউনিয়নের ৩,৪, ৫,৭ ও ৮ নং,ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা চরম বিপাকে।
এ অংশের বিদ্যুৎ বিভাগ পরিচালনাকারী রামু প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় কন্ঠ কে বলেন,তারা প্রাণান্ত চেষ্ঠা চালাচ্ছেন লাইনটি স্বাভাবিক করার জন্যে।


