নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান রুমা ও থানচি উপজেলায় সাম্প্রতিক আলোচিত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী পুরুষ ৫৭ আসামিকে দুটি মামলার রিমান্ডে আবেদন শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
দায়ের করা মামলায় ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের ২ দিন করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। অন্য ৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জানান, উভয় পক্ষের আবেদন শুনানি শেষে ১ জন প্রেগন্যান্ট আসামিকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি এবং বাকিদের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ও চারজনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
বৃহস্পতিবার(১৮এপ্রিল) কড়া নিরাপত্তায় বান্দরবান কারাগার থেকে তাদের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনের আদালতে ৫২ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছে।
পরে আদালত থেকে তাদের কড়া নিরাপত্তায় আবার কারাগারে নেয়া হয়।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও টাকা লুট করে। অপহরণ করা হয় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নয়টি মামলা দায়ের করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত কেএনএফ এর সদস্য ও সহযোগীসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারদের বিশেষ নিরাপত্তায় বান্দরবান কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন ও কেএনএফ সদস্যদের আটকে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।