নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে রুমায় থেকে এক নারীসহ আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,২ নং রুমা সদর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইডেন পাড়া এলাকার লাল চেও বমের মেয়ে লাল রিন ত্লোয়াং বম (২০), ঙুনদাং বমের ছেলে ভান নুয়াম থাং বম (৩৭), লাল মুয়ান বমের ছেলে ভান লাল থাং বম (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় তাদেরকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন।
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর পৃথক পৃথক অভিযানে কেএনএফ সদস্য সন্দেহে ৩ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতের তোলা হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, রুমা থেকে গ্রেপ্তারকৃত এক নারীসহ ৩ জনকে ব্যাংক ডাকাতির সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, রুমা থানার ৫টি মামলার সন্দেভাজন আসামী হিসেবে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ জনকে আটক করে বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান।
এ পর্যন্ত ১৯নারীসহ ৫৮ জনকে থানচি ও রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।
২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।