পাহাড়কন্ঠ ডেক্সঃবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনায় এপাড়ের মানুষদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
রবিবার(২৫ জানুয়ারি)সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়া,রাইটক্যাম্প ও বাইশপারি এলাকার সীমান্তের মিয়ানমার ভিতরে এলাকায় এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়,দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সমর যুদ্ধ বিভিন্ন সময় সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুমের লোকালয়ে বিষ্ফোরিত হয় এবং একাধিক বাংলাদেশী নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে।এছাড়া এরই মধ্যে বেশকয়েকটি মটার্রশেল ও গোলা উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনায় স্থানীয়দের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।পরে কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় স্বস্তি ফিরেছিল সীমান্তবাসীদের মনে।তবে আজ সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলির শব্দে কেপে উঠে ঘুমধুমের তুমব্রু,বাইশপারি এলাকা। ফলে এনিয়ে ফের আতংক দেখা দিয়েছে জনমনে। জান্তাবাহিনীর বেদখলে যাওয়া এলাকা গুলো পুনঃ দখলে নিতে এই যুদ্ধ চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আলম জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৩নম্বর ওয়ার্ড বাইশপারি এলাকার ৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ব্যাপক ভারি গোলা বিষ্ফোরণের শব্দ শুনা গেছে।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।একের পর এক জাতিগত বিদ্রোহী’রা দখলে করে নিচ্ছে সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ। সামরিক জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের অগ্রাসন টেকাতে,রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে থাকতেন মিয়ানমারের জান্তা সরকার জোর করে রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে।
এসব রোহিঙ্গাকে সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে দুই সপ্তাহের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা,এসব রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনীতে নিয়ে মূলত মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইনে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা পুরুষকে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবির থেকে জোর করে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার পর অধিকারকর্মীরা এসব তথ্য গণমাধ্যম দিয়েছেন।