নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর সারাদেশে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পর অনেক নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন, কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে, আবার কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ের সন্ধানে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা বিএনপি–জামায়াতের রাজনীতিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের মধ্যে অন্যতম বান্দরবান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের নেতা রেজাউল করিম।
জেলা জুড়ে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও সাবেক এমপি বীর বাহাদুরের নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় কর্মী রেজাউল করিম ও তার সহযোগীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যম হাফেজ ঘোনা এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রেজাউল করিম ও মো. খোরশেদের নেতৃত্বে একটি চক্র এলাকায় অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তারা মাদক ব্যবসা, জমি দখলসহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের পর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে তারা রাজনৈতিক ‘খোলস’ পাল্টে এখন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবান সদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্ক ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে—অতীতের অভিযোগে অভিযুক্ত এসব নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক, যাতে বান্দরবানে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে।


