নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বান্দরবান জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক এবং উপজেলা প্রশাসনের একটি যৌথদল।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার সময় উপরোক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে নিযুক্ত দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের ২টি ইটভাটা স্কেভেটার মিশন দিয়ে কিলন বেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম ও বান্দরবান জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক।

এছাড়া অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন এবং বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অভিযানে ইটভাটা বিএইচবি-১, জেএসবি-২ ব্রিকস গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এতে ভুক্তভোগী ইটভাটা মালিকরা প্রায় ৮০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় এই ২টি ইটভাটায় প্রায় ১৫শ শ্রমিক কাজ করে।
এভাবে প্রতিনিয়ত ইটভাটা গুড়িয়ে দিলে ও উচ্ছেদ করলে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।
ইটভাটা মালিকরা আরো বলেন, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে ককসবাজার ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ঘর ও সরকারি অফিস-আদালত নির্মাণ বন্ধ হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন,পরিবেশ সুরক্ষায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
আরো পড়ুন→বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প ও খাবার পানি সরবরাহ