নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে ও অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম রোধে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালিয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন টানানোর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা হয়।
বিজিবি জানায়,সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মাইন বিস্ফোরণ প্রতিরোধে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় প্রচার চালিয়ে সীমান্তবাসীকে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম না করতে আহ্বান জানানো হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্তের শূন্যরেখার আশপাশে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলে মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণহানির ঝুঁকিও বাড়ছে। এ বিষয়ে জনগণকে সরাসরি সচেতন করতে বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনও স্থাপন করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “মিয়ানমারের ভেতরে এখনো মাইন বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে। অনেক সময় অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের কারণে সাধারণ মানুষ এ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাই জনগণকে সচেতন করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। সবাই যদি আইন মেনে চলে এবং বিজিবিকে সহায়তা করে, তবে সীমান্ত হবে নিরাপদ।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বিজিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণকে সচেতন না করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রবণতা থামানো সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন→বান্দরবানে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিশু ধর্ষণের ঘটনায় পিসিসিপি’র মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ