বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু পাড়ায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মারমা শিশু-কে ৫ মারমা যুবক কৃতক ১ মাস যাবৎ পর্যায়ক্রমে ধর্ষনের ঘটনায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি এবং সামাজিক সালিশের নামে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হেডম্যান কারবারি ও নিষদ্ধ সংঘটন আ.লীগ নেতাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতবার (২১ আগষ্ট) বিকেল ৩টায় বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ বান্দরবান জেলার পক্ষ থেকে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাহাড়ি-বাঙালি শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে নিকৃষ্ট এই কর্মকান্ডে জড়িত পুলিশের হাতে আটক হওয়া আসামিদের দ্রুত বিচার পলাতক দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ধর্ষণ বিরুধি নানান প্লেকার্ড, ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাএপরিষদ বান্দরবান জেলার সভাপতি আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে আয়জিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা সভাপতি মাও. আবুল কালাম আজাদ, বান্দরবান পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ চৌধুরী এবং পিসিসিপি ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান।
প্রধান বক্তা কাজী মজিব বলেন, ধর্ষক খুনি সন্ত্রাসীদের কোনো আলাদা পরিচয় নেই, তারা সংখ্যালঘু। ধর্ষক যেই দলের যেই সম্প্রদায়ের যেই ধর্মের হোক ধর্ষকের একমাত্র পরিচয় সে একজন অপরাধী। ভুক্তভুগী শিশুটি এখনো দুনিয়া সম্পর্কে জানেনা আজকে শিশুটিকে নির্মমভাবে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। মেয়েটা আমারও হতে পারত আপনারও হতে পারত তাই বলি ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া যাবেনা। অতীতে এই জঘন্য অপরাধীদের ছাড় দেয়ার কারণে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হচ্ছে। সকল কিছুর উর্ধ্বে এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। নাহলে আমরা এই শকুনের নখের আঁচড় থেকে কেউ রেহাই পাবোনা।
এসময় বক্তারা আঞ্চলিক রাজনৈতিকদল প্রন্থী সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের নিশ্চুপ ভূমিকায় দুঃখ প্রকাশ করে আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান এবং পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ৫০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো অভিযুক্ত পাড়া কারবারি, হেডম্যান ও নিষিদ্ধ সংগঠন আ.লীগ নেতাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন ইমন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মিছবাহ উদ্দীন, রেইছা ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সুয়ালক ইউনিয়ন সভাপতি মো. সুমন, সরকারি কলেজ আহ্বায়ক মো. রফিক, সরকারি মহিলা কলেজ সভানেত্রী রুমী সেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এই বিষয়ে আরো পড়ুন→রুমায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল: বিচারের দাবিতে উত্তাল মারমা জনগোষ্ঠী