Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

শান্তিচুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা বাতিলের দাবিতে আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আরাফাত খাঁন
আপডেট : December 2, 2024
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ২৭তম বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশের সংবিধানের সহিত পার্বত্য চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিল দাবিতে আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

সোমবার(০২ ডিসেম্বর)বিকাল-৩টায় বান্দরবান জেলা সদরে প্রেসক্লাব সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ মুক্ত মঞ্চেএই আলোচনা ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

এ-সময় বক্তৃতা বলেন,বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের সহিত পার্বত্য চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিল/সংস্কার,নির্বাচনের মাধ্যমে আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ গঠন,উন্নয়ন বোর্ড,আঞ্চলিক পরিষদ,জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বাঙ্গালী নিয়োগ,বাজার ফান্ড এলাকার জমি বা প্লটের লীজের মেয়াদ ৯৯ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা ও বন্ধ রাখা ব্যাংক ঋণ পূণরায় চালু করা,ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সংবিধানের আলোকে অন্যান্য ৬১ জেলার ন্যায় একনীতি গ্রহণ করা,১৯০০ সালের পার্বত্য শাসনবিধি বাতিল করা এবং বাঙ্গালীরাই বাংলাদেশের আদিবাসী এটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে,পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিকপরিষদের
কেন্দ্রীয়কমিটির চেয়ারম্যান,কাজী মোঃ মজিবর রহমান বলেন,শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পার হলেও পাহাড়ে এখনও বন্ধ হয়নি অস্ত্রের ঝনঝনানি।পার্বত্য  তিন জেলায় সশস্ত্র ৬টি সংগঠনের আধিপত্যের লড়াইয়ে নিহত হয়েছে হাজারো মানুষ।আহত ও উদ্বাস্তু হয়েছে আরও অনেকে। অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বারংবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তির ধারা।

তিনি আরও বলেন,এসব দলের সশস্ত্র সদস্যরা লিপ্ত হচ্ছে চাঁদাবাজি,গুম,খুন ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতে। ফলে পার্বত্য ৩ জেলায় আধিপত্য বিস্তার,চাঁদা ও অপহরণ নিয়ে থেমে থেমে হচ্ছে প্রাণহানি। এই সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমাদের উল্লেখিত দাবী বাস্তবায়ন করে,পাহাড়ি বাঙালি সমতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকার আন্তরিক ভূমিকা রাখবেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান পার্বত্য জেলার,সিনিয়র সহ-সভাপতি,আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন,মোঃ জসীম উদ্দিন,হাজী আবদুস শুক্কুর,এম রুহুল আমিন,মোঃ নুরুল আলম,মোঃ আসিফ ইকবাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য,শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তির বিরোধিতা করে একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এরপর থেকে পাহাড়ে আবারও অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। গেল ২৭ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ ভেঙে হয়েছে ৪টি সশস্ত্র সংগঠন। এ ছাড়া পার্বত্য বান্দরবানে কুকি চীন ও মগ পার্টি নামে আরও ২টি সশস্ত্র  সংগঠনের জন্ম হয়েছে।

>>>বান্দরবানে দীর্ঘ সময় পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শান্তিচুক্তির ২৭ বর্ষপূতি উদযাপন

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।