নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর,আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন একসময়ের বিএনপির সমর্থক এই ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান সুজন নামের এই ঠিকাদার। রাতারাতি হয়ে উঠেন ক্ষমতাধর আওয়ামিলীগ পন্থী ঠিকাদার।
সুবিধাবাদী ঠিকাদারদের নিয়ে গড়ে তুলেন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ কমিটি। সদ্য আওয়ামিলীগ সরকার পতনের আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন।দীর্ঘ ১৬ বছরে হয়ে উঠেন প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাধর ঠিকাদার। জনশ্রুতি রয়েছে নিজেকে সাবেক এমপি বীর বাহাদুরের কাছের মানুষ পরিচয় দিয়ে,নিয়ন্ত্রণ করতো সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঠিকাদারী কাজ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হওয়ায় পর মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছেন এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী।
বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট সামনে,স্বর্ণশিলা আবাসিক হোটেলের, পাশে অফিসে বসে,নিয়ন্ত্রণ করতো বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,এলজিইডি,জেলা পরিষদসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারের কাজ। ভাগবাটোয়ারা করে টাকা পৌঁছে দিতো সংশ্লিষ্টতায় জড়িতদের কাছে।
জানা গেছে, পাহাড়ী ঠিকাদার দের লাইসেন্সে ঠিকাদারী কাজ করে, কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। বেনামে ঠিকাদারী কাজ করে অল্প,সময়ে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়,আলোচিত ঠিকাদার আনিসুর রহমান সুজনের সম্পদ অর্জনের সংক্ষিপ্ত তথ্য: অল্প সময়ে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম নামে-বেনামে সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে, বান্দরবানের বর্তমান রাজার মালিকানাধীন সাঙ্গু হোটেল ক্রয় করে নিয়েছেন।এছাড়া বালাঘাটা শৈলশোভা এলাকায় কোটি টাকা মুল্যের জমির উপর ৮ তলা ভবনের কাজ চলমান । লুসাই বাড়ির পাশে থানজামা লুসাই নামক এক ব্যক্তি থেকে প্রথমে ২৪ শতক জমি ক্রয় করে ২০ লাখ টাকায়। জমির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনের,৭ শতক জায়গা ক্রয় করেন অনুমানিক ৩ কেটি ৫০ লাখ টাকায়। সুয়ালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রায় কোটি টাকা মুল্যের জমির মালিক আনিসুর রহমান সুজন। জেলার রুমা এবং থানচিতে রয়েছে তার ২টি অবৈধ ইটভাটা ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে সত্যতা জানতে আনিসুর রহমান সুজনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে, ওনার মোবাইল বন্ধ পাওয়ার কারণে ওনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

