নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান সদর উপজেলার ৪ নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আবু ইউচুফ একজন ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ উদ্যোক্তা হয়েও গড়ে তুলেছে লাখ টাকার সম্পত্তি দোকান ও গাড়ী বাড়ি।
সূত্রের তথ্য থেকে জানা যায়,জন্মনিবন্ধন সংশোধন ও বিভিন্ন ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে, লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে আবু ইউচুফ। অল্প দিনে হয়েছে তার দামী গাড়ী,পাকা বাড়ী ও কয়েকটি নিজস্ব দোকান এবং বিভিন্ন ব্যাংকে এ রয়েছে বিপুল অংকের ব্যাংক-ব্যালেন্স। রেয়েছে কয়েকটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুয়ালকের একজন বাসিন্দা পাহাড় কণ্ঠ কে জানান, পরিষদে উদ্যোক্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকে পাল্টে গেছে চলাফেরা ও বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উক্যানু মার্মা আশ্রয়-প্রশ্রয়ে,টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে অনেক লোকজনকে। পরিষদের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিজেও ভোগ করেছে পরিবারের লোকজনদের ও পাইয়ে দিয়েছে।
একজন বাসিন্দা পাহাড় কণ্ঠ কে জানান, ২০২০ সালের দিকে আবু ইউসুফ সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে যোগ দেন সাধারন উদ্যোক্তা হিসেবে।যোগ দেওয়ার পরে হয়ে উঠেন সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উক্যনু মারমার কাছের লোক তার সুবাদে লুটে পুটে বনে যান লাখপতি এবং সুয়ালক ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাক্তিগত ভাবে কম্পিউটার কোর্স চালু করেন এবং বছরের পর বছর হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন । কম্পিউটার কোর্সে ভর্তি এবং সরকারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ প্রদান করেন টাকার মাধ্যমে। একাদিক ভুক্তভোগী চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্তা নেয়নি।
এই বিষয়ে জানতে উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আবু ইউচুফের মোটোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে ও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের কাছে সুয়ালক ইউনিয়নের জনসাধারণের দাবি তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করে নৈরাজ্য থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।


