Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

দুর্গম ধুপানিছড়া যৌথ বাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৯জন আটক

babul khan
আপডেট : April 16, 2024
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবানে রুমা ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জুড়িত কুকিচিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর চলমান সাঁড়াশি অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ এবং ৯ টি  গাদা বন্দুকসহ  ৯জনকে  আটক করে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলার রুমা উপজেলার দোপানীছড়া পাড়া  ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল এর সুং সুং পাড়া আর্মি
ক্যাম্প থেকে এ অভিযান চালানো হয়।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে চৌকস সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে,বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে  বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র,বিপুল পরিমান গোলাবারুদ, সোলার চার্জার, ২ টি মোবাইল ফোন, সন্ত্রাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি  ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল এর একটি অপারেশন দল রুমা উপজেলার দোপানীছড়া দুর্গম এলাকায় অভিযান চালায়। ওই আস্তানা থেকে তারা দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে অভিযানকালে সেনা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গহীণ অরণ্যে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায়  বেথেল পাড়া থেকে  কুকি চিন সন্ত্রাসী দলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকার সন্দেহে নারী-পুরুষ মিলে ৪৮ জন সহ বিভিন্ন সময়ের অভিযানে যৌথ বাহিনী প্রায় ৬৩ জনকে আটকের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করে।ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ৭১ জুনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য,পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদল বিপদগামী,কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএফ)নামে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠন করে। তারা বিভিন্ন সময় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে  আসছে।