Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

১১ দফা দাবিতে ফের সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : November 30, 2019
Link Copied!

চাঁদাবাজি বন্ধ, বর্ধিত বেতন, খাদ্যভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে ফের সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ধর্মঘটের ডাক দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।

প্রকাশ দত্ত বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা এর আগে দুই দফায় ধর্মঘট পালন করেছি। তখন আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, কিন্তু একটি দাবিও পূরণ হয়নি। তাই আমরা আবারো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। ধর্মঘটে সারাদেশের সব ধরনের নৌযান বন্ধ থাকবে।

নৌশ্রমিকদের দাবি সংবলিত পোস্টারশ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো হলো– ১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ করা। ২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান। ৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান। ৪. সব নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ। ৫. এনড্রোস, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ। ৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ। ৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান। ৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন। ৯. মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও সনদ নবায়ন, বেআইনি নৌ চলাচল বন্ধ করা। ১০. নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং ১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আন্দোলনকারীরা জানান, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তারা তিনবার ধর্মঘটে গেছেন। প্রতিবারই শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো হয়। পরে মালিকরা দাবি মেনে নেননি।