বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মুজিববর্ষের একটি ঘরের দাবি জানিয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা তাহেরা বেগম।স্বামী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে।বসবাস করেন ভাঙা হেলে পড়া একটি টিনের ঘরে। ঝড়- বৃষ্টির সময় ভাঙা চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে ভিজে যায় তার শরীর ও জিনিসপত্র। শীতকালে ভাঙা ঘরের ফাকা দিয়ে প্রচণ্ড বাতাস ও কুয়াশা ঢুকে সারা শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। বিধবা বৃদ্ধা তাহেরা বেগমের আকুতি- মরার আগে একটা নতুন ঘর তৈরি করে এই ঘরে শান্তিতে ঘুমাইতে চাই। বিধবা তাহেরা বেগমের তিন ছেলে সন্তান থাকলেও তারা দুই হাজার টাকা পাঠায় পারে আর তেমন কোন খোঁজ খবর নেয় না তার।
অনেক কষ্টে মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে দিন চলে গেলেও ভাঙ্গা একটি টিনের ঘরে বহু কষ্ট করে রাত-দিন কাটাতে হয় তার। বিধবা তাহেরা বেগমের বাড়ি খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডে। তিনি বেশ কিছুদিন আগে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আবেদন জানিয়ে ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে পাবেন বলে আশা দিয়েছেন এখন পর্যন্ত কোনো খবর নাই ।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তাহেরা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, বিনা চিকিৎসায় খেয়ে না খেয়ে হেলে পড়ার ঘরে দিন কাটছে। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছি। শুনেছি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়হীন গৃহহীন ভূমিহীন দেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘর দিচ্ছে। আমাকে যদি দয়া করে একটা ঘর দেয় তাহলে জীবনের শেষ কয়টা দিন একটু আরাম করে ঘুমাতে পারবো। বিধবা ভাতা নাই সরকারের অন্য কোন মানবিক সহায়তা থেকেও বঞ্চিত রয়েছ ঘরে ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে হেলে পড়া টিনের ঘরে মানবেতর জীবনযাপনই যেন আমার নিয়তি!
আমাকে যদি একটি ঘর দিতেন তাহলে মরার আগ পর্যন্ত শান্তিতে থাকতাম।জীবনের শেষ সময়ে এসেও সুখের দেখা মিলেনি।বৃষ্টির দিনে খুবই কষ্টে সময় কাটে। মেয়ে হওয়ার যন্ত্রনাটা এখনো সহ্য করতে হচ্ছে বলে অঝোরে কাঁদেন তিনি।
প্রতিবেশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,বিধবা তাহেরা একেবারে অসহায়।ভাঙা টিনের ঘরেই বাস করে তিনি।একটু জোরে বাতাস আসলে ঘর ভেঙে যাবার উপক্রম হয়।খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তার। সরকারে কাছে জোর দাবি করছি-তাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিন।প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে গৃহ দেওয়ার প্রকল্প থেকে তাদের ভূমির উপর একটি ঘর তৈরী করে দিলে তার জীবনের শেষ সময়ে সুখে থেকে মরতে পারতো।