1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. paharkantho2024@gmail.com : Sm Nasim : Sm Nasim
  3. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  4. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  5. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
পাহাড়ে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ফুঁ কালং,ফুল বারেং - paharkantho
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে পর্যটন সড়ক বেহাল, জনশূন্য পাহাড়ে সড়ক উন্নয়ন বান্দরবানে সাংবাদিকদের সথে এনসিপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে র‌্যালি–সমাবেশ থানচিতে নতুন বাস টার্মিনাল চালু যাত্রীসেবার নতুন সম্ভাবনা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে বান্দরবানে পার্বত্য চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি পালন রুমায় সহকারী শিক্ষা অফিসারের দুই পদ শূন্য: তদারকি–শৃঙ্খলায় স্থবিরতা রুমায় দুলাচান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক অনুপস্থিত, পাঠদানে অনিয়মের অভিযোগ রেইচা আর্মি চেকপোস্টে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৬ রোহিঙ্গা আটক থানচিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা বান্দরবানের থানচিতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

পাহাড়ে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ফুঁ কালং,ফুল বারেং

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁঃ
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

আলীকদম(বান্দরবান)প্রতিনিধিঃপাহাড়ে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর  মধ্যে থেকে হারিযে যেতে বসেছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ব্যবহারিত   জিনিস পত্র তার মধ্যে অন্যতম হল ফুঁ কালং বা ফুল বারেং। এখন বতর্মান সময়ে ডিজিটাল যুগে প্লাস্টিক সামগ্রীর পন্য ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে এইগুলো হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে। আজকাল যদি কম বয়সের লোকদের দেখানো হয় বা বলা হয় কি বলবেন জানিনা।জানবেন বা কি করে।আন্দাজে কি বলবে।তাই সবার মনে জানবার ইচ্ছা-জিগাংসা।

এই ঝুড়ি ও ছোট্ট কাপড়টি হচ্ছে,পাহাড়ীদের হারিয়ে যাওয়া, লুকায়িত ও বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য’র একটি অংশ।চাকমা ভাষায় বলা হয় ফুলবারেং।আর নকঁশা তৈরি কাপড়টি হচ্ছে আলাম।অন্য দিকে তঞ্চঙ্গ্যা ভায়ায় বলা হয় ফুঁ কালং ও আলাম।ভিন্ন সম্প্রদয়ের ভিন্ন রকমের নাম  ও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

জানা যাক ফুল বারেং কি-পরম ধৈর্য্য নিঁপুণ বুননে একটি  বেতের তৈরি ঝুড়ি।তাই এই ঝুড়ি কে বলা হয় ফুলবারেং।এক একটি ঝুড়ি যেন এক একটি শিল্প কর্ম ও কারুকাজ।মূলতঃ শুভ বিবাহের জন্য ব্যবহার করা হয় ফুলবারেং’টি।বিয়ের দিন-ই একমাত্র বরের পক্ষ থেকে কনের অলংকার, পোশাক পরিচ্ছদ ও যাবতীয় সরঞ্জামাদী নেওয়া কনের বাড়ীতে এ-ই ফুলবারেং দিয়ে।

প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমানেও এই রীতি প্রচলন রয়েছে।থাকলেও বর্তমানে এ রকম ঝুড়ি তৈরি করা বেত শিল্পী পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। বলতে গেলে নাই বললে চলে। এজন্য এখনকার বিবাহ সম্পন্ন করে সাধারণ ফুল বারেং দিয়ে। সে ধনী হোক কিংবা গরীব হোক। তাই খুবই রেয়ার।একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,পেশাগত ঝুড়ি তৈরি করা ঐতিহ্য গত শ্রম শিল্পী বা কারিগর না থাকার কারনে এ-ই ফুলবারেং’টি প্রায় বিলুপ্তির পথে।

তাহলে এবার জানা যাক আলাম কি-পাহাড়ী মেয়েদের পোশাকে উপরে একটি অংশ থাকে সেটাকে বলা হয় হাদি।এই হাদিতে বিভিন্ন ধরনের নকঁশা বোনা হয়,নকঁশাগুলো এক সাথে  সংরক্ষণ করে তৈরি হওয়া কাপড়কে আলাম বলে।পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের নকঁশা তুলে হাদি বুনানো হয় এবং নকঁশা তুলা হয়।তাই আলমের নকঁশাগুলো কে ফুল বলা হয়।এগুলো আলামে উল্লেখযোগ্য ফুল বা জু বলা হয়।

স্থানীয় ভাষায় জু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।যেমন- বেগুন বিচি ফুল, কুয়া চুগ ফুল,জুনিপুগ ফুল,গুমচগলা ফুল,সাবকাঙাল ফুল ইত্যাদি ইত্যাদি।অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে যত রকমের ফুল আছে ঐ ফুলগুলো আলামে তুলা  হয়। হাদি বুনানোর সময়ে কোন ফুলের পরে কোন ফুলটা সাজিয়ে দিলে হাদিতা আরো বেশী সুন্দর ও আকর্শনীয় দেখাবে।তাই হারিয়ে যাওয়া লুকায়িত, বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবাই এগিয়ে আসুন।

কয়েকজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান – আদি প্রাচীন যোগে আমরা এত কিছু চিনতাম না জানতাম না। আমাদের সময়ে আমরা মেয়ে বিয়ে দেওয়া ও ছেলের বউ আনা সময় ফুঁ কালং বা ফুল বারে দেওয়া বাধ্যগত ছিলো কারণ মেয়ের কাপড় রাখা বা ছেলের নতুন বউ আনার সময় এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়। এখন বর্তমান যুগে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, এই যুগের ছেলে মেয়েরা চিনেন বলে আমার মনে হয় না। তাই সম্মিলিত উদ্যোগে লুকায়িত,বিলুপ্ত সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবাই এগিয়ে আসুন।

call now: 01872-699800

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a