নিজস্ব প্রতিবেদন : কক্সবাজারের সদরের বাংলাবাজারে স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রের উপদ্রব বেড়েছে। চক্রটির উৎপাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না খোদ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট নাগরিকও। জানা গেছে- এমন একটি পুলিশ সদস্যের পরিবারকে উপর্যুপরি চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হতে হয়েছে।পুলিশ সদস্য মুজিব তার পরিবারের নিজ ভোগ দখলীয় জমিতে দোকান নির্মাণ করতে গিয়ে বারবার বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। নির্মাণ কাজ করতে হলে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হবে চিহ্নিত ওই দুর্বৃত্তদের। অন্যথায় কিছুতেই নির্মাণ কাজ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা।দোকান নির্মানে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে পেয়ে কয়েক দফা হামলা করে নির্মান কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে হুমকি ধমকি।
এসবের সুরাহা চেয়ে প্রশাসনের দারস্ত হয়েছেন পুলিশ সদস্য মুজিবুর রহমানের পিতা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হাবিবুল হক। গত (রবিবার ১৩ জুন২১ইং) কক্সবাজার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দেন।
হাবিবুল হক অভিযোগে উল্লেখ করেন, বাংলা বাজার ষ্টশনে তার নিজস্ব জমিতে দোকান নির্মানের কাজ শুরু করলে স্থানীয় একরামুল হকের দুই পুত্র তৌহিদুল হক ও মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ৪/৫ জন মাদকসেবি বাঁধা দেয়। হামলা করে লুট করে নিয়ে যায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল।
স্থানীয় মাদকসেবিরা বার বার চাঁদা দাবী করে আসলেও তা দিতে অপারগতা জানায় পুলিশ সদস্যের পরিবার। এ কারণে হামলা চালিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজচক্রটি। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যের পিতা হাবিবুল হক। অভিযোগেটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ সদস্য মুজিব চাকরির কারণে বাড়িতে না থাকায় তার পিতা ও পরিবারের উপর স্থানীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাঁধা দিচ্ছে। তারা যা করছে তা মেনে নেয়া যায় না। চাঁদা দাবির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় এলাকাবাসী।
পুলিশ সদস্য মুজিব মুঠোফোনে জানান, আমার পিতার ক্রয়কৃত জমি টি এক যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি আধা পাকা একটি দোকান তুলতে গেলেই চাঁদার দাবী নিয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তৌহিদ ও মোজাম্মেলসহ একটি চক্র। পাকা দোকান তুলতে হলে তাদের লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দিতে হবে। না দিলে কাজ বন্ধ করে দেবে। তাদের টাকা না দেয়ায় হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে তাদের অব্যাহত হুমকি-ধামকিতে আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। যার কারনে নিজের কর্মক্ষেত্রেও বিঘ্ন ঘটতেছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, খোঁজ খবর নিচ্ছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।