রামু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুল দুর্গম জনপদের সৃজনশীল শিক্ষালয়। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে অনুমান করা যায় এটি একদিন এলাকার পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক উপরে টেনে তুলবে।
শনিবার ( ৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় অত্র স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ,কৃতি ৪ শিক্ষার্থী ও কে জি ফাইভ এর ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত ডিআইজি ( টুরিস্ট পুলিশ, ককসবাজার রিজিয়ন) আলহাজ্ব মো: আপেল মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,একজন নি:স্বার্থ শিক্ষানুরাগী ও ক্ষুরধার সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ জাতির গর্ব। এ সব উদার মানুষের জন্ম যুগে যুগে পিছিয়ে পড়া জাতির পাশে ছিলেন। মাঈনুদ্দিন খালেদ তাদেরই একজন। পৈত্রিক সম্পদ বিলিয়ে তিনি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গর্বের।
এতে স্কুল প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্ব করেন। এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন রামুর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি শোভন কুমার সাহা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৌলানা আলী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাস্টার ফয়জুল হাসান,এশিয়ান টিভি ককসবাজারের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষংছড়ি প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য জয়নাল আবেদীন টুক্কু সহ অভিভাবক ও বিশিষ্টজন প্রমূখ।
প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমের সার্বিক তত্বাবধানে শিক্ষক মুসা কলিমুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ,প্রাক্তণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।এ ছাড়াও নতুন ভবন ও ক্লাসরুমেন উদ্বোধন করা হয়। স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪ জন শিক্ষার্থী ও কে. জি ফাইভ এর শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ সময় শিক্ষক দেলওয়ার হোসেন, দীল আরা বেগম,তসলিমা আক্তার, ডলি আক্তার,আসমাউর হোসনা ও সাদিয়া আক্তার সহ প্রাক্তন ছাত্র রাকিব, দেওয়ার,নিঝুমসহ অনেকে সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুল প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আত্ম প্রকাশ ঘটে অনুষ্ঠান শেষে। এতে আহবায়ক মুসা কলিমুল্লাহ
সদস্য সচিব মোবারক হোসেন ও যুগ্ন সদস্য সচিব করা হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি আগামী ২ মাসের মাধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।