নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার চকরিয়া পৌরসভা প্রকাশ্যে দিবালোকে এক সাংবাদিকের পৈতৃক বসতভিটা জায়গা দখলে নিতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ির সীমানা ভাংচুর ও তান্ডবের অভিযোগ উঠেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দখলের চেষ্টায় সন্ত্রাসীদের মারধরে সাংবাদিকের বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে মারধর করে আহত হয়েছে। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী পরিবার জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার (৫মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের পৈত্রিক বসতভিটায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকার মৃত হাজী ফেরদৌস আহমদের স্ত্রী ও সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের বৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম (৬২), তার স্ত্রী সানজানা ইয়াছমিন (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকার মৃত হাজি ফেরদৌস আহমদের মালিকানাধীন জায়গায় তার বড় ছেলে সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিন বসতঘর নির্মাণ করে তার পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তার বসতঘরে পুরুষশূন্য থাকার সুবাধে একই এলাকার, মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশা, তার ছেলে মহিউদ্দিন, কামাল হোসেন, বাদশা মিয়া’র মেয়ে ফাতেমা ও তার দুই পুত্রবধূসহ ১২/১৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে বসত বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে সাংবাদিকের বসতঘরের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এসময় সাংবাদিক বেলালের বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়।
পরে খবর পেয়ে সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন ও স্থানীয়া এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পরে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশের একটি টিম (এস আই) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করেন।
ওই সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী দৈনিক ভোরের ডাক চকরিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার সন্তানসহ জুমার নামাজে মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশা ও তার ছেলে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ছেলের পুত্রবধুসহ ১২/১৪ জনের একদল সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে বসত বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে বসতঘরের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। তবে কি কারণে এ হামলা চালিয়েছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। সন্ত্রাসীদের হামলার সময় আমার বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়।এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনার পর পরই তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে ঘটনার বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।