নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ও কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে উভয় অভিযানে পাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজিবির সংশ্লিষ্টরা।
(০৩ ফেব্রুয়ারি) সোমবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শোয়ারীগোদা এলাকা এবং মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়া সীমান্তে পৃথক এ অভিযান চালানো হয়েছে।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, সোমবার মধ্যরাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে সীমান্তের শোয়ারীগোদা এলাকা দিয়ে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে নাফ নদীর জলসীমার শূণ্যরেখা অতিক্রম করে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তি বস্তা কাধে শোয়ারীগোদা এলাকা দিয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে পাচারকারিরা বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সাথে থাকা বস্তা দুইটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া দিলেও তাদের আটক করতে সক্ষম হননি। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে পাচারকারিদের ফেলে যাওয়া বস্তা দুইটি উদ্ধার করা হয়। বস্তা দুটি খুলে পাওয়া যায় ১ লাখ ইয়াবা।
মাদকের চালান পাচারের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা। তিনি জানান, উদ্ধার করা মাদকগুলো বিজিবির ব্যাটালিয়ন দপ্তরে রাখা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়া সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে রেজুপাড়া সংলগ্ন আমবাগান অতিক্রম করে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে বস্তা কাঁধে গর্জনবুনিয়া চাকমাপাড়ার দিকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা সাথে থাকা বস্তা দুইটি ফেলে দিয়ে পাহাড়ী জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে পাচারকারিদের ফেলে যাওয়া বস্তা দুইটি উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো খুলে পাওয়া যায় ৫০ হাজার ইয়াবা।
উদ্ধার করা মাদকের চালান পাচারের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা। তিনি জানান, উদ্ধার করা মাদকের চালান বিজিবির ব্যাটালিয়ন দপ্তরে রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন→বান্দরবানে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হলো সরস্বতী পূজা