ডেস্ক নিউজঃ রাঙামাটিতে পর্যটকদের জন্য জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে আজ (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার আগামীকাল (১ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে পর্যটকেরা রাঙ্গামাটি জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পারবেন। অন্যদিকে বান্দরবানেও রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলা ব্যতিত বাকি ৪ উপজেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র গুলি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
বিগত দিনে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে চলা সহিংসতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর তিন জেলা প্রশাসন নোটিসের মাধ্যমে রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হয়। পুনরায় পর্যটকদের জন্য রাঙামাটি জেলা উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
উক্ত ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকেরা নিশ্চিন্তে রাঙামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জারি থাকবে।
রাঙামাটি জেলার সাজেক বছরই পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে । সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির নেতারা বলেন, পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে সাজেক ভ্যালি টানা ৩৯ দিন পর্যটক শূন্য ছিল। প্রতিদিন প্রায় ৭০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে পর্যটক আসবে সাজেকে। আমরা পর্যটকদের বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অন্যদিকে বান্দরবানে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে পর্যটন–সংশ্লিষ্টরা মতবিনিময় সভা করেন। সভায় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবান জেলা সদরসহ চার উপজেলা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে বাকি তিন উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তও শীঘ্রই নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাউছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মনজুরুল হক, বান্দরবান সদর রিজিয়নের মেজর মো, শায়েখ উজ জামান, বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কাজল কান্তি দাশ, সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহারিয়াসহ জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন৷
সভায় কাজল কান্তি দাশ বলেন, জেলার ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিগত চার বছর ধরে জেলার অর্থনৈতিক চালিকা শক্তির প্রধান এই খাত খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্ত।
এর আগে জেলাপ্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে পর্যটন পেশাজীবী ঐক্যপরিষদের উদ্যেগে ভাত দেন না হয় পর্যটন স্পট খুলে দেন এই ব্যানারে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার দাবি জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।