নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান সরকারি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বান্দরবানের বাইরে থেকে কেরানীহাট, লোহাগাড়া সাতকানিয়া, বাজালিয়ার হওয়ায় প্রতিদিন তাদের কলেজে যাতায়াত করার প্রধান মাধ্যম হলো বাস কিন্তু বাস ভাড়া নিয়েই বিপাকে শিক্ষার্থীরা হেল্পারদের বাজে ব্যবহার তো আছেই। অন্যদিকে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম ডিগ্রি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তাদের ও কলেজ যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাস তাদেরও একই অভিযোগ।
এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম বাস হওয়ায় তারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে দাবি তাদের।
তারা জানান বান্দরবান থেকে বাজালিয়া কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো বাস ভাড়া নির্ধারণ করা নেই, শিক্ষার্থীদের দাবি এক এক বাস এক এক রকমের ভাড়া চায় তাদের মন মত ভাড়া না দিলে চড়াও হয় শিক্ষার্থীদের উপর।
বান্দরবান কেরানীহাট রুটের লোকাল বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ নেই তবে শিক্ষার্থীরা বলছে বান্দরবান থেকে বাজালিয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ টাকা ভাড়া এবং অন্যান্য সাধারন যাত্রীদের জন্য ৩০ টাকা, এবং বান্দরবান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া ৩০ টাকা এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ আছে বলে দাবি তাদের। জানা যায় অনেক সময় বাস হেল্পাররা এই ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া দাবি করে, না দিলে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়ে মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল পাহাড় কণ্ঠ কে জানান কলেজে যাতায়াত করার প্রধান মাধ্যম বাস। কিন্তু বাস এই আমদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাসের হেল্পাররা এক এক সময় এক এক রকমের ভাড়া দাবি করে। সিট খালি থাকতেও আমদের দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্যে জোর করে সিটে বসে গেলে বেশি ভাড়া চাওয়া হয়,আমদের কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই দাবি যাতে নির্দিষ্ট একটি ভাড়ার তালিকা তারা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কান্তি দাশ ঝন্টু পাহাড় কণ্ঠ কে জানান ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারন করা না থাকলেও সাধারন ভাড়া থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয় শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো বাস চালক যদি অর্ধেক ভাড়া নিতে না চায় আমরা তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
প্রত্যেক বাসে কয়জন ছাত্র ছাত্রী যেতে পারবেন এই রকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রত্যেক বাসে সর্বোচ্চ ১০ জন ছাত্রছাত্রী যেতে পারবেন এর চেয়ে অধিক শিক্ষার্থী হলে সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের সাথে বাস হেল্পারের খারাপ আচরণের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি বান্দরবান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা উচিত। এবং তাদের বাসের হেল্পাদের খারাপ আচরণের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।