নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রশাসনের দেয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে রঙ্গাপানীর জেলা রাঙামাটি পুজোর ছুটিতে পর্যটন শূন্য হয়ে রয়েছে। পর্যটক না থাকায় বিশাল অংকের ক্ষতিতে পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীসহ এ খাতে নিয়জিত সংশ্লিষ্টরা। হাহাকার অবস্থায় পড়ে গেছেন সবাই।
সম্প্রতি পাহাড়ি-বাঙালির সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় পোভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন স্থানীয় প্রশাসন এই করণেরই পর্যটক নেই রাঙ্গামাটিতে।
দৈনিক কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে কটেজ, হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন-নির্ভর অন্যান্য ব্যবসায়ীদের।
তারই জেরে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটির আরেক পর্যটনীয় উপজেলা কাপ্তাই।
পর্যটকদের আকর্ষণের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কাপ্তাইয়ের কৃত্রিম হ্রদ, কর্ণফুলী পেপার মিল, কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সবুজের সমারোহকে প্রতিবছর পুজোর ছুটিতে লেগেই থাকে পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু এবার দেখা গেলো তার ভিন্ন চিত্র।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত, পরবর্তীতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ও জানমালের ক্ষতি এড়াতে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকের অবাধ চলাচলে সাময়িকভাবে প্রশাসন থেকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয় পর্যটকদের। এর ফলে শুন্য হয়ে পড়ে পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলো।
রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে এখন তেমন কোনো পর্যটক না থাকায় কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানা যায়।
কাপ্তাই হ্রদের ইঞ্জিল চালিত বোট মালিক সমিতির ম্যানেজার শীতল কান্তি বলেন, ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপস্টিম জেটিঘাটে গত ১৫ দিন ধরে কোনো পর্যটকের দেখা পাইনি। ব্যবসার প্রতিটি খাতে যে সকল শ্রমিক কর্মচারী সম্পৃক্ত তাদের উপার্জন একদমই নেই। সব মিলেয়ে তাদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় আরেক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, শান্তির পাহাড়ে যারা অশান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তাদেরকে কঠিন হস্তে দমন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। এভাবে চললে আমরা বাঁচবো কী করে? এ ভাবে তো বেশি দিন চলা যায় না।