ঢাকার বনানীর মোঃ আরফাতুর রহমান আপেল নামক এক ব্যবসায়ী বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করলে তা ফেরত দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি।
(৮ সেপ্টেম্বর) রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি স্বাক্ষরিত বিএনপির ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি লিখিত বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করলে। চারি দিকে তোলপাড় শুরু হয় এই বিষয় নিয়ে।
অবশেষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন সেই ব্যবসায়ী আরফাতুর রহমান আপেল তিনি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন এবং তিনি নিজেকে সাবেক যুবদল নেতা দাবি করেন।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আসসালামুওয়ালাইকুম। আজকে এই পোষ্ট করার উদ্দেশ্য, “আমার ওপর যে মিথ্যা অভিযোগ এসেছে সেটাকে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা”।
আমি একজন সম্মানিত ব্যবসায়ী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার মানহানী হওয়াই নিজের সম্মান রক্ষার্থে এই পোষ্ট টি করে নিজেকে ব্যাখ্যা করাটা আমার কাছে জরুরি মনে হইলো।
আমি মোঃ আরফাতুর রহমান আপেল, সাবেক বগুড়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম ২ বছর, পরবর্তীতে জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ছিলাম ৬ বছর। এবং পরবর্তীতে জেলা বি.এন.পির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম ৭ বছর এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্বাহী সদস্য ছিলাম ৫ বছর। দায়িত্ব পাওয়ার পর হইতে আমার নামে স্বৈরাচারী সরকার বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয়। আমি এই বিষষয়গুলো তে আবার ফিরব বাকী কিছু কথা বলার পর। *
বিগত ২৫ আগস্ট, বি.এন.পির অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের অফিসে গেলে তিনি আমাকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ তহবিলে সহযোগীতা করতে বলেন। আমার ব্যবসায় মন্দ হওয়ার কারনে আমি ১০ লক্ষ টাকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করি। তখন তিনি আমাকে পরদিন ২৬ই আগস্ট, বি.এন.পির যুগ্ন মহা সচিব ভাইয়ের বাসায় টাকা টি পৌছেঁ দিতে বলে। আমি কথামত, পরদিন ২৬ আগস্ট সকালে বি.এন.পির যুগ্ন মহাসচিব ভাইয়ের বাসায় আমি নিজে টাকাটা পৌছেঁ দেই এবং তিনি গ্রহন করেন।
হঠাৎ করে, গতকাল ৮ই সেপ্টেম্বর বি.এন.পির যুগ্ন মহাসচিব ভাই আমাকে কল করে অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের অফিসে আসতে বলেন। আমি তার কথা মত, অফিসে গেলে একটি চিঠি সহ টাকাটা ফেরত দেন।
পরবর্তিতে আমি জানতে পারলাম, ২০১৯ সালে ভাসাবি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনজির সাহেব। তাকে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী, ফুল দেওয়ার সময় বি.এন.পির আরো নেতাকর্মী সহ আমিও উপস্থিত ছিলাম। উনি যে ওইদিন সেখানে আসবেন এটি আমার জানা ছিল না। কিন্তু আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বারবার শুধু মাত্র আমার নামই উল্লেখ করা হয়। এইদিনই বেনজীর সাহেবের সাথে আমার প্রথম এবং শেষ দেখা ছিল।
কিন্তু কিছু প্রতিপক্ষ এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে আমার নামে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আমার মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্ঠা করছে। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে, চিঠি এবং আমার ছবি সহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া প্লাট ফর্ম এবং পত্রিকায় দেওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বিভিন্ন কু-মন্তব্যের মুখোমুখি আমাকে হতে হচ্ছে। যেটা আমি মনে করি আমার জন্য কাম্য নয়।
*এখন ফিরে আসি আবার আমার রাজনৈতিক জীবনের কথায় যেটা কিছুক্ষণ আগে বলছিলাম। বেশ কয়েকটি মামলার কারণে, ৪ বার আমাকে এ্যারেস্ট করে জেলে পাঠানো হয় এবং প্রতিবারই আমি দীর্ঘ দিন কারা ভোগ করি। মামলাগুলো এখনো চলমান আছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে পুলিশ ও র্যাব এর অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব এর অসহনীয় অত্যাচারে পরবর্তীতে আমি ঢাকা আসি। আসার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেই। জামিন নেওয়ার পরে ঢাকা বনানী থানায় ২০২৩ ইং সালে আবারো আমার নামে ডিবি হারুন মিথ্যাভাবে মামলা দেয়। মামলা দেওয়ার পর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করা। তারপর মামলায় জামিন নেওয়ার পরেও আমাকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন সময় মিন্টু রোডে ডিবির কার্যালয়ে বার বার ডেকে জিজ্ঞাসা বাদ করে বলা হয় আমি নাকি সরকার পতনের কাজে টাকা দিয়ে সহায়তা করছি।
তারপরও দলের সিদ্ধান্তই চুরান্ত সিদ্ধান্ত , মেনে নিয়ে আমি যেনো চলতে পারি, এই দোয়াই সবার কাছে চাই।
অবশেষে তিনি তার অতীতের রাজনৈতিক পদ পদবী উল্লেখ করেন। মোঃআরফাতুর রহমান আপেল
সাবেক সাধারন সম্পাদক বগুড়া জেলা যুবদল।
সাবেক নির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় যুবদল।
সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বগুড়া জেলা বি.এন.পি ।
সাবেক বগুড়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।