থানচি প্রতিনিধি: বান্দরবানের থানচিতে গতরাতে গোলাগুলির পর এখন কিছুটা এলাকা শান্ত রয়েছে। তবে সকাল থেকে পূনরায় গুলির বর্ষনের ভয়ে জনসাধারণ আতঙ্কে রয়েছে,পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
শুক্রবার (৫এপ্রিল) সকাল থেকে গুলিবর্ষণের ভয়ে ও আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ রেখেছে থানচি বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাজারে আসছে।
শুক্র বার (৫এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম রেঞ্চ পুলিশ সুপার (এ্যাডমিন ও ইন্টেলিজেন্স) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) সঞ্জয় সরকার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, কেএনএফ রাতে আচমকা থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে । পুলিশ ও পাল্টা গুলি ছুড়ে হামলার প্রতিরোধ করে। পরে পুলিশের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ায় পিছু হটতে বাধ্য হয় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এসময় দুই শতাধিক রাউন্ড গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলির শুরুর পরই থানচি বাজার একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এছাড়া, সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখায় ডাকাতির পর ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধার করে র্যাব।
(অতিরিক্ত ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্চ) সঞ্জয় সরকার,আরো বলেন এই ঘটনায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত সৃষ্টি হয়নি। তায় জনসাধারণের প্রতি আহ্বান আপনারা ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন না। জনসাধারণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।