নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল আইসোলেশনে করোনা চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট হয়ে পড়েছে।
এই সংকট নিরসনের লক্ষে মায়ের ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডাটি করোনায় আক্রা রোগীদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য উৎসর্গ করে দেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী নূরুল আবছার সোহেল।
আজ শুক্রবার (১২ জুন) ৫টায় বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমার মা একজন হার্টের রোগী। চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁর জন্য ক্রয় করা হয়েছিল এই অক্সিজেন সিলিন্ডারটি। তবে এই মহামারি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতে ক্রমন্বয়ে পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্ক রয়েছে।
অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় বেড়েই চলছে করোরা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।স্থানীয় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৫ বেড থেকে ১৯ বেডে উন্নত করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট। সরকারও এই মূর্হুতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট কভারিজ দেয়া সম্ভাব নয়। দেশ এবং এলাকাতে এ মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে সবাই সহযোগিতার প্রয়োজন। তাই চিন্তা করলাম এই মূর্হুতে টাকা দিয়েও এসব সিলিন্ডার পাওয়া মুশকিল। মায়ের অনুমতি নিয়ে মায়ের ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারটি হাসপাতাল আইসোলেশনের রোগীর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আর এদিকে, সোহেলের এই মানবতার অংশগ্রহণের কথা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এই দূর্যোগের সময় তার মায়ের ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার কয়েজনের দিতে পারবে। বলতে গেলে তাঁর মা এখনো সুস্থ হয়ে উঠেনি। এরপরও সে বড় ধরনের মাননবিকতা দেখিয়েছেন। এভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট নিরসন করতে আমারা সবাই এগিয়ে আসার দরকার।
উপজেলা নিবর্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, মহতি কাজে এগিয়ে আসতে বিত্তশালী মানুষের দরকার পড়েনা। সোহেলের মতো সাধারণ মানুষের মনমানসিকতা এবং বড় মনের মানুষ হতে হয়। সোহেলের এই মানবিক দৃষ্টিকোণ অন্য জনকে এই মানবতায় এগিয়ে আসার সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা, আবু জাফর মো, ছলিম জানান, গত ৪ জুন করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় জেলার সিভিল সার্জেন,জেলা পরিষদের প্রতিনিধি,স্থানিয় চেয়ারম্যানসহ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিগণ উপস্থিতে হাসপাতালের ৫ বেডের আইসোলেশনে ১৯ বেডে উন্নত করার জন্য সিভিল সার্জেন নির্দেশনা দেন। সেই প্রক্ষিতে অক্সিজেন সিলিন্ডা সংকটের কথা উঠে আসে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায়।
স্থানিয় এক যুবক আইসোলেশনে অক্সিজেন সিলিন্ডাররে সংকটের কথা জানতে পেরে এবং চিকিৎসা পাওয়ার জন্য তাঁর মায়ের ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারটি বিনা মূল্যে দিয়েছেন। এভাবে অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে সংকট দূর হবে এবং রোগী চিকিৎসায় কোন ধরনে শঙ্কা থাকবে না।