শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঢাকায় এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে থানচিতে মিছিল সমাবেশ খাগড়াছড়িতে বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন বান্দরবানের দুর্গম পাহাড় থেকে অপহরণের ১৭ ঘন্টা পর অপহৃত সাত শ্রমিক উদ্ধার বান্দরবানের তিন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার চেষ্টায় কাজ করছে প্রশাসন: জেলা প্রশাসক নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক বান্দরবানে মুক্তিপণের দাবিতে ৭ জন অপহরণের অভিযোগ নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ থানচিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে একটি ইট ভাটায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা রুমায় ৯ বিজিবি কৃতক শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ রামুতে ছাত্রলীগ নেতা কৃতক বন্দুক ঠেকিয়ে -যুবদল নেতাকে হুমকি
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

বান্দরবানে ক্রমশ বাড়ছে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক 

আরাফাত খাঁন
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩২৬৪ জন নিউজটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রীতির জেলা এই পার্বত্য বান্দরবান,বাড়ছে চাঁদাবাজি খুন ছিনতাই অপহরণ।নিজেদের অধিকারের দাবি তুলে গড়ে উঠছে জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপ।গড়ে উঠা এই সকল গ্রুপের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি সকলের অজানা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থানচি এলাকার থুইসা পাড়া রাজু খিয়াং কটেজ হতে,১৮ জন পুরুষ ও ৪জন মহিলা ২২ জন পর্যটক। আমিয়াখুম ভ্রমণ শেষে তারা বেলাখুমে যান। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ভেলাখুমে পর্যটন স্পটে অবস্থান করেন।ওই দিন রাত সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে ৭/৮ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাদের ক্যাম্পে হানা দেয়।

অজ্ঞাত সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদেরকে জিম্মি করে সাথে থাকা নগদ ১লাখ ৮১ হাজার টাকা ও ১৫ টি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ভ্রমণকৃত পর্যটকরা।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পর্যটকরা থানচি বাজার বিজিবি পোষ্টে এসে অভিযোগ করেন যে থুইসাপাড়া হতে একজন স্থানীয় গাইড নিয়ে আমরা ভেলাখুম গেলে পাহাড় হতে ৭/৮ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাদের জিম্মি করে। আমাদের কাছে থাকা নগদ টাকা,মোবাইল,ঘড়ি দিতে বলে। না দিলে গুলি করবে বলে ভয় দেখায় সন্ত্রাসীরা।পর্যটকরা আরো জানায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কেএনএফ এর মনোগ্রাম সম্বলিত ছাপা পোশাক পড়া ছিল ।তবে সন্ত্রাসী দলটি নিজেদেরকে আরাকান আর্মি বলে দাবি করে।

এই বিষয়ে স্থায়ী বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত।সার্বিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেইসবুক প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দেয়।হচ্ছেটা কি? কারণ রকম ঘটনা প্রথম ঘটলো। ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পার্বত্য এই

জেলা। এই সকল ঘটনা ঘটতে থাকলে পর্যটক এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে স্হানীয় বাসিন্দারা

এর আগে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের গুলিতে ২নং রুমা সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড রিঝুক পাড়া এলাকায় এক মারমা সম্প্রদায়ের একজন আহত হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।এসময় কয়েকটি ঘরবাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবান জেলা সদরের সাথে থানচি রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সকল প্রকারের গণপরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং লাইন মেন কে মারধর ও ধমকি প্রদান করে। ঘটনার একদিন পর আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কেএনএফ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!