নিজস্বপ্রতিবেদন:বান্দরবান তিন উপজেলা,রুমা,থানচি,রোয়াংছড়ি পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের একদিন পর আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কেএনএফ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলার রুমা,থানচি,রোয়াংছড়ি উপজেলার বাস টার্মিনাল এর টিকেট কাউন্টার গুলোতে স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রীরা টিকেট কেটে গন্তব্যে আশা যাওয়া করতে পারছেন।
কেএনএফ এর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে জানায় অত্রাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সকল জাতি গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণের কথা বিবেচনা করে এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন দিক থেকে আশ্বস্তের কথা চিন্তা করে কেএনএফ-এর ইমার্জেন্সি এক্সিকিউটিভ মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেএনএফ কর্তৃক আহুত চলমান যানবাহন ধর্মঘটটি প্রত্যাহার করা হলো। এবং আগামী ৭দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে কোন হস্তক্ষেপ বা সুরাহা না হলে আবার কেএনএফ কঠোরভাবে যানবাহন ধর্মঘটের ডাক দিতে প্রস্তুত।মূলত শান্তি আলোচনা চালিয়ে নেয়ার স্বার্থে ধর্মঘট থেকে সরে আশে এই সংগঠনটি।
বান্দরবান বাস মালিক সমিতির অফিস সহকারী মিলন দাশ জানান আজ সকাল থেকেই যথারীতি আমাদের বাস টিকেট কাউন্টার গুলোতে সাধারণ যাত্রী এবং পর্যটকরা টিকেট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৌয়দ মাহবুবুল হক জানান, গতকাল প্রশাসনের সাথে রুমায় বম ও মারমা জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে,এছাড়াও যে বিষয়টি নিয়ে জাতিগত একটি সহিংসতা বিরাজমান ছিলো তা দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এলাকায় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে সকল ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আশার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি স্থানীয় জনসাধারণ,স্থানীয়রা জানান অস্ত্র,সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে কেএনএফ এর উচিত শান্তি আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করা, তাদের কর্মকাণ্ডের কারনে সাধারণ পাহাড়ি জনসাধারণ সহ বম জনগোষ্ঠীর অনেকেই অযাচিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
প্রসঙ্গত গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলায় কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের গুলিতে ২নং রুমা সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড রিঝুক পাড়া এলাকায় এক যুবক আহত হয় এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় এসময় কয়েকটি ঘরবাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এদিকে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ) জেলার রুমা,থানচি,রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় ধর্মঘট পালন করে।