পাহাড়কন্ঠ ডেস্কঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি আলোকে বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন করেছে নব গঠিত পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলর্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতান্ত্রিক) ইউপিডিএফ।
রবিবার (১৭অক্টোবর) দুপুরে শহরের বালাঘাটা সড়কের কাজি ডাইন রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ইউপিডিএফ মূখপাত্র সুলেন চাকমা বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কোন শেষ নাই। কুচক্রী এই মহলসমূহ গত কয়েক দশক ধরে সাধারণ জুম্ম ভাইবোনদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজ স্বার্থে অপব্যবহার করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্বে এই ষড়যন্ত্রের ধরন ছিল একরকম আর চুক্তির পর স্বার্থন্বেষী মহল নতুন রুপে তাদের ষড়যন্ত্র সাজিয়ে আবার জনগনকে ধোঁকা দেওয়ার পায়তারা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ,পাহাড়ে সন্ত্রাসের জন্য জেএসএসকে দায়ী করে বলেন- কুচক্রী মহলটি জুম্ম জনগণকে বিভ্রান্ত করে, অপব্যবহার করে দেশের বাইরে দুটি স্থানে অনুগত কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। অরাজকতা সৃষ্টি করে কোন কিছু আদায় করা যায় না। আমরা চাই সরকারের সঙ্গে বুঝাপড়ার মধ্যদিয়ে শান্তিচুক্তি প্রতিষ্টিত হউক। কোনভাবে পাহাড়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করে নয়। যারা পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে জেএসএস এর ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার, চলমান উন্নয়ন, দেশী-বিদেশী স্বার্থনেষী মহলের ষড়যন্ত্র এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারী বৃদ্ধির দাবী জানান।
বান্দরবানে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ বলেন- তাদের সশস্ত্র কোন দল নেই, ক্যাডার নেই। সাধারণ জুম্ম জনগণের স্বার্থেই তারা কাজ করছেন। অন্যদিকে সন্তু লারমা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার পরও একগোয়েমী করে পাহাড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ইউপিডিএফ এর জেলা সভাপতি মংপ্রু মারমা,সিনিয়র সদস্য চিকু চাকমা,পিসিপি সভাপতি উচিং মারমাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।