নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার হেব্রোণ খ্রিষ্টিয়ান স্কুল প্রাঙ্গণে দুইদিন ব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে বার্ষিক বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ মেলায় শিক্ষার্থীরা নানা উদ্ভাবনী প্রকল্প ও মডেল প্রদর্শন করেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সমাপনী দিনে মোট ১৫টি প্রকল্প স্থান পায়, যার মধ্যে সৌরশক্তিচালিত ঘর, পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভূমিকম্প-নিরোধক স্থাপনা, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)–নির্ভর স্মার্ট হেলথ সিস্টেম, পরিকল্পিত স্কুল, স্টার ওয়াটার সাপ্লাই ও পরিকল্পিত সেমিনার ঘর অন্যতম স্থল দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, মেমোরিয়াল খ্রিস্টান উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সচিব এবং ট্রান্সপেরেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি-চকরিয়া) সহসভাপতি রুনেন্দু বিকাশ দে। বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেব্রোণ খ্রিষ্টিয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্মিতা ত্রিপুরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্যাপ্টিস্ট চার্চের চেয়ারম্যান মনতাজন ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস-চেয়ারম্যান ক্যজহা ত্রিপুরা, বিটিএবিসি মিনিস্ট্রি সহকারী পরিচালক লূক মিলন ত্রিপুরা, হেব্রোণ খ্রীষ্টিয়ান স্কুলে এস এম সি কমিটির সভাপতি সুভাষ ত্রিপুরা ও এস এম সি কমিটির সদস্য শ্যামাচরণ ত্রিপুরা প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা ও উদ্ভাবনী মনোভাব জাগিয়ে তোলার জন্য এই ধরনের বিজ্ঞান মেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান চর্চা ও ব্যাক্তিগত জীবনে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষা গ্রহনের জন্য আহ্বান জানান।
মেলা শেষে বিচারকমণ্ডলীর শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসেবে দশম দল প্রথম, সপ্তম দল দ্বিতীয়, ও পঞ্চম দল তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের, পরিকল্পিত স্কুল, স্টার ওয়াটার সাপ্লাই, পরিকল্পিত সেমিনার ঘর প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেন। দেয়ালিকার শ্রেষ্ঠ হিসেবে, গল্প অষ্টম শ্রেণীর শান্ত ত্রিপুরা, কবিতা ৫ম শ্রেণির নভজিৎ মার্ক দাশ, অংকন নবম শ্রেণির সুবল ত্রিপুরা। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
দুইদিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। পুরো ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত।