নাজিম উদ্দিনঃমানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন,মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।অন্যথায় কঠোর কর্মসূচীতে যাবে কলম সৈনিকরা। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কলম ও লেখনি স্তব্দ করার পাঁয়তারা চলছে। এটি ষড়যন্ত্রের নিকৃষ্ট উদারহরণ।আমরা কালোকে কালো বলি, আর সাদাকে সাদা বলি। সাংবাদিকদের চোখ,কান খোলা থাকে।অপরাধীরা অপরাধ করলে সাংবাদিকরা না লিখে বসে থাকতে পারেনা।দুর্ণীতিবাজ ও সমাজের পেশীশক্তিরা আজকে সাংবাদিকদের টার্গেট করেছে। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে।রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয় হচ্ছে কলম সৈনিকদের লেখনি।রাষ্ট্রকে দেখিয়ে দেওয়া সাংবাদিকদের কাজ।আমরা দেশ ও সমাজের দর্পণ। মানুষ যেমন আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে পান ঠিক তেমনিভাবে সাংবাদিকরা লিখলে জাতি ও রাস্ট্র সঠিক বিষয়টি দেখতে পান।
তাই বলে এ নয় যে, বিনা কারণে সাংবাদিকদের মামলায় জড়াতে হবে। আজকে লিখতে গিয়ে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। একইভাবে সাংবাদিকদের পরিবারকেও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে নিপীড়ন পেকুয়ায় চলমান রয়েছে সেটি বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকতা করেন বলে তার ছেলে ও স্ত্রীসহ পরিবারের নিরাপরাধ সদস্য কেন আসামী হয় এর জবাব চাই আমরা। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। না হয় রাস্তায় নেমে কঠোর কর্মসূচী এ পেকুয়ায় চলমান থাকবে।
২০ ডিসেম্বর (সোমবার)পেকুয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। দুই সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের স্কুল, কলেজ পড়–য়া দুই ছাত্র, স্ত্রীসহ মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। ওই দিন বিকেলে সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী চত্তরে ওই মানববন্ধন কর্মসূচীতে পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছেন। প্রেসক্লাব পেকুয়ার ব্যানারে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচীকে সফল ও সার্থক করতে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রেনীর বিপুল মানুষ অংশগ্রহন করেন।
সুত্র জানায়,সম্প্রতি পেকুয়া থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলা ও চট্টগ্রাম আদালতে দায়েরকৃত একটি পৃথক মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলাসহ ৪ টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পেকুয়া থানায় রুজুকৃত জিআর-৯৭ ও জিআর-৯৮ মামলায় দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকা ও দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি মুহাম্মদ হাসেমের দুই ছেলে চট্টগ্রাম সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র আরিফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম দিলোয়ারা জাহান স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র মুহাম্মদ আরমান, স্ত্রী নাসিমা আক্তারসহ ওই পরিবারের ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতে দায়েরকৃত আরেকটি মামলায় পেকুয়ায় কর্মরত আনন্দ টিভির প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম রাশেদ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের পেকুয়া প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাবুলকে আসামী করা হয়েছে। এ সব মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে পেকুয়ায় সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচী আহবান করেন। ওই দিন মানববন্ধনকে সফল ও সার্থক করতে বিপুল পরিমাণ মানুষ জড়ো হন। মানববন্ধনকে সংহতি জানাতে পেকুয়ায় ক্ষমতাসীন দলের একটি বিশাল অংশ মিছিল সহকারে অংশ নিয়েছিলেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আজাদীর প্রতিনিধি ছফওয়ানুল করিম,প্রেসক্লাব পেকুয়ার আহবায়ক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন,সদস্য সচিব সাংবাদিক সাজ্জাদুল ইসলাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো:ফারুক, জাতীয় শ্রমিকলীগ পেকুয়ার সভাপতি এইচ,এম নুরুল আবছার ও উপজেলা যুবলীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো: আজম বক্তব্য রাখেন। এ সময় পেকুয়ার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পেশাজীবি রাজনৈতিক দলের বিপুল লোকজন সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনকে সফল ও সার্থক করে।