বান্দরবান প্রতিনিধিঃযথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধমার্বলম্বীদের মহাপিন্ড দান অনুষ্ঠান।বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমার পর থেকে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান চলমান অনুষ্ঠানটি এ মহাপিন্ড দানের মাধ্যমে শেষ হল কঠিন চীবর দান দানোৎসব।
শুক্রবার ১৯ নভেম্বর সকালে বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার(খিয়ং ওয়া কিয়ং)থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের হয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমবেত হয়।এই পিন্ডদানে প্রায় তিন শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু লাইন ধরে খালি পায়ে হেঁটে শহরের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে পিন্ডদান গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তীবরীজি,জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু , সিভিল সার্জন ডা: অশৈংপ্রু মার্মাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা।
এসময় পুণ্যলাভের জন্য রাস্তায় প্যান্ডেল সাজিয়ে নর-নারীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভিক্ষুদের নিকট পিন্ড (নগদ অর্থ, চাউল,মোমবাতি,বিভিন্ন কাঁচা ফল, পূজা সামগ্রী)দান করেন পূজনীয়রা। এই পিন্ডদান ধর্মীয় উৎসবটি দেখতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় বান্দরবান শহরে।
তাছাড়া বিকালে নর-নারী,দায়-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারের সমবেত হয়ে ভগবানের উদ্দেশে বিহারে জ্বল উৎসর্গ (পানি ঢালা), নগদ অর্থ দান, ফানুস উত্তোলন, মোমবাতিও হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করবেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য যে, কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ খালি পায়ে হেঁটে বিভিন্ন বৌদ্ধ পল্লীতে ছোয়াং (খাদ্য) সংগ্রহ করতেন। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা যুগযুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।