পেকুয়া প্রতিনিধিঃকক্সবাজারের পেকুয়ায় মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরী।
১-নভেম্বর(সোমবার)দুপুরের দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরী উপজেলা পরিষদে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরীকে সমর্থন জানাতে বিপুল সংখ্যক ভোটার ও শুভাকাংখীরা তাকে নিয়ে শ্লোগান মুখরিত করে। উচ্ছাস ও আনন্দঘন পরিবেশে কয়েক শতাধিক লোকজন তাকে সমর্থন জানাতে একত্রিত হন।
সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া নিজ বাসভবন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরী পায়ে হেঁটে শো-ডাউন সহকারে উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। ওমর রিয়াজ চৌধুরী পেকুয়ার আন্নর আলী মাতবরবাড়ীর কৃতি সন্তান। তার পিতা শামশুল আলম চৌধুরী একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। ওই পরিবারের সন্তান হিসেবে ওমর রিয়াজ চৌধুরী মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। তিনি পেকুয়ার উদীয়মান তরুণ সমাজ সেবক।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওমর রিয়াজ চৌধুরী জনগনের মনোনীত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এবার ভোট করছেন। গত কয়েক বছর আগে থেকে তিনি ভোট করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকার জনগন তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। আপামর জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে তরুণ ব্যবসায়ী ওমর রিয়াজ চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।
ভোটারদের অনুরোধে তিনি এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে অবতীর্ণ হয়েছেন। এর আগেও ভোট করার বাসনা ছিল। কিন্তু তিনি নিজস্ব মানুষকে জেতাতে ভোট থেকে সরে গিয়েছিলেন।
ওমর রিয়াজ চৌধুরী কেন ভোট করছেন ভবিষ্যত পেকুয়া সদরকে নিয়ে তার কর্ম পরিকল্পনা কি হবে সাংবাদিকদের এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরী জানান, জনগন আমাকে বার বার অনুরোধ করছিলেন ভোট করার জন্য। জনগনের অনুরোধে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জনগন আমাকে ও আমার পরিবার সম্পর্কে জানে ও চিনে। বাবা এ অঞ্চলে মানুষের জন্য রাজনীতি ও সমাজনীতি করেছে। রাজনীতি ও সমাজনীতি বাবার কাছ থেকে শিখেছি। মানুষের কল্যাণের জন্যই সমাজনীতি।
পেকুয়া সদর ৫০ হাজার মানুষের ইউনিয়ন। এখানে কাঠামোগত কিছু সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে জনগনের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। আমি যেটি লক্ষ্য করছি পেকুয়া সদর ইউনিয়নে উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত ভাবে আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি।
নন্দীরপাড়া,পূর্ব মেহেরনামা,বলিরপাড়া, মোরারপাড়া,সৈকতপাড়া,বাগগুজারার বাজারপাড়া, বিলহাছুরা, সিরাদিয়া, পূর্ব গোঁয়াখালী, টেকপাড়া, মইয়াদিয়া, জালিয়াখালী, মগকাটা, হরিণাফাঁড়ি, বাইম্যাখালী, পশ্চিম গোঁয়াখালীর বটতলীয়াপাড়া, উত্তরের দিকে শেখেরকিল্যাঘোনা, মৌলভীপাড়া, সাবেকগুলদি, সরকারীঘোনাসহ আরো অনেক এলাকা এখনো অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে। এ সব এলাকায় এখনো নেই পর্যাপ্ত উন্নয়ন। গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তাঘাট মানুষের চলাচল অযোগ্য। স্বচ্ছ, সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মঠ জনপ্রতিনিধি পারেন এ সবের আমূল পরিবর্তন। এখানে শুধু জনপ্রতিনিধির সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে। আমি অঙ্গীকার করছি আমাকে জনগন ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে আগে এ সব দূরীভূত করব। প্রতি বছর বর্ষার সময় সদরের নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। এ সব পরিকল্পনার অভাব।
সদর ইউনিয়নের বিচার ব্যবস্থা স্থবির হয়ে গেছে। গ্রাম আদালত তৃণমূলের বিচারালয়। চেয়ারম্যানকে সরকার এখানে বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছেন। তবে প্রায়োগিক ক্ষমতার বিস্তার না থাকায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে সদরের জনগন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। আমার কাজ হবে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালীকরনের কাজ। বিচার নিয়ে ভোগান্তি নিরসন করবো।
মাদকের বিস্তার হ্রাস করা হবে। যুব সমাজকে ভবিষ্যত হাতিয়ার ও কর্মমূখী করতে হলে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। জনপ্রতিনিধির গুরুত্ব এ কাজে সবচেয়ে বেশী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পেকুয়াকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স ঘোষনা করা হবে। সামাজিক ঝুঁকি হ্রাসকরনে সরকার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যে সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সে গুলির বন্টনে আত্মীয়করন, স্বজনপ্রীতি নির্মূল হবে। ইউনিয়ন পরিষদ হবে একটি স্বচ্ছ গতিশীল প্রতিষ্ঠান।
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর রিয়াজ চৌধুরীর দৃষ্টিভঙ্গি কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইভিএম হচ্ছে স্বচ্ছ পদ্ধতি। বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবী এনালগ থেকে ডিজিটালে উন্নীত হয়েছে। আমাদেরকেও ডিজিটাল হতে হবে। ভোটারদের ইভিএম নিয়ে শংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমি ওই পদ্ধতিকে সাদরে গ্রহণ করছি।