পেকুয়া প্রতিনিধিঃনানা বৈতরনী পেরিয়ে একজন সফল নেতা আবুল কাসেম। তৃণমুল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেতার জীবনের সোনালী দিন গেছে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর। নির্যাতনের ষ্ট্রীম রোলারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তার পুরো পরিবার। তবুও হাল ছাড়েনি। শক্তহাতে হ্যান্ডেল করে আজ একজন সফল রাজনীতিবিদ। হাল ধরেছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত সংগঠন আওয়ামীলীগের। পেকুয়া উপজেলার গুরু দায়িত্ব তার মাথার ওপর। আজ তিনি পেকুয়ার বটবৃক্ষ। তার ছায়া তলে হাজার হাজার মুজিবপ্রেমী।
আবুল কাসেমের দিন কেটেছে রাজপথে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। দলকে আকঁড়ে ধরে জীবন বাজি রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। জীবনের দীর্ঘ সময় কেটেছে অন্ধকার কারাপ্রকোষ্টে। ছাত্রলীগ নেতা থেকে আজ আওয়ামীলীগের পেকুয়া উপজেলা শাখার সফল সাধারন সম্পাদক। সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া প্রয়াত নুরুল আলমের বড় ছেলে আবুল কাসেম। যার পথচলা শুরু ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। তুখোড় বক্তা ও রাজপথের মুজিব রণাঙ্গনের সাহসী বীর সেনানী তিনি। ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী ও অসীম সাহসী।
২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে একাধারে তিন বছর, ১৬ মাস এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রায় ১৮ মাস মিথ্যা মামলায় কারাভােগ করেন। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা টুকে দেওয়া হয়।২বার ডিটেনশান সহ ১৯টি রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলায় তিনিসহ ছয় ভাই কারাভােগ করেন।
১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন আবুল কাসেম। ১৯৮৭-১৯৯৫ ইং পর্যন্ত অবিভক্ত চকরিয়া থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি, ১৯৯৬-১৯৯৯ ইং পর্যন্ত পেকুয়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ১৯৯৯-২০০২ ইং পর্যন্ত থানা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩-ইং সালে কারাগারে থাকাবস্থায় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৭-২০১২ইং সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও ২০১২ ইং সালের ১৩ ডিসেম্বর কাউন্সিলে সর্বোচ্চ ভােট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
এছাড়াও পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ পরিচালনা কমিটি ও পেকুয়া আনােয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমানে। পেকুয়া সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব রয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে এখনো অনুপ্রেরনা যোগায় মুজীব প্রেমীদের।
এবারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান, আবুল কাসেম আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ। তৃণমুলের শেষ ঠিকানা তিনি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দলের দুঃসময়ে, নেতাকর্মীর বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন। আবুল কাসেমের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। দীর্ঘ দিনের বিরোধী শিবিরে থাকা আসনটি উদ্ধার করতে হলে নৌকার মনোনয়ন কাসেমের বিকল্প নেই।