পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ হেভিওয়েট মেম্বার প্রার্থীরাও মাঠে। সুষ্ঠু ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে বিজয় চান তারা। গত কয়েক দিনের চুড়ান্ত প্রচারণা ও ভোট যুদ্ধে টইটংয়ের জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট মেম্বার প্রার্থীদের পদচারণায় উৎসবে পরিনত হয়েছে টইটংয়ের ইউপি নির্বাচন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় মেম্বার পদপ্রার্থী। ইউপির সাধারন ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে আসতে সদস্য প্রার্থীরা অবিরাম ছুটছেন ভোটারদের মাঝে।
বর্তমান ও সাবেকের সমন্বয়ে একাধিক হেভিওয়েট মেম্বার প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তারুণ্য ও প্রবীণের সংমিশ্রণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টইটংয়ের মাঠ এখন সরগরম। ভোটাররা পরিবর্তনের পক্ষে। তারা চান একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। মানুষ আধুনিক টইটং বিনির্মাণে প্রত্যাশী।
চেয়ারম্যান পদে দুই রাজনৈতিক শিবির থেকে প্রার্থী হয়েছেন মাঠের দুই নেতা। ক্যারিসমেটিক নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ভোট ব্যাংকে কাজে লাগিয়ে জিততে চান চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম মোসলেম উদ্দিন। অপরদিকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের গতিধারাকে আরো বেগবান করার অঙ্গীকার দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ বাড়াতে চান নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। ইউপি সদস্য ও প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন।
সদস্য পদে ত্রিমুখী ভোট হচ্ছে টইটংয়ের ১নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে সদস্যপদে ৪ জন প্রার্থী। সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিল ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবুল কাসেম ছাড়াও এ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ নেতা ওসমাণ গণি সওদাগর ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। ২ নং ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য টিপু সোলতান ফের ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ৩ নং ওয়ার্ডে দু’বারের ইউপি সদস্য মনজুর আলম, সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, তরুণ সমাজ সেবক মালেক মাঝি প্রার্থী হয়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ডে শিক্ষক মাও: আবদুল হক সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি হয়েছেন মেম্বার প্রার্থী। তবে প্রবীণ আ’লীগ নেতা কবির আহমদ সওদাগরকে ঘিরে ভোটারদের আস্থা আছে। ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী ৪ জন। ভোট হবে আ’লীগ শিবিরের দুই প্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য ফয়সাল আকবর ও ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আবুল কালামের মধ্যে।
৭ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ২ জন। প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন ও ছরওয়ার উদ্দিনের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ৫ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ৩ জন। ৫ বারের ইউপি সদস্য কবির আহমদ ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু ওমরের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে।
৮ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ৪ জন। ভোটাররা জানান, ওই ওয়ার্ডে ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরু ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। নুরুল ইসলাম ও ইলিয়াস মুহাম্মদ উদ্দিন রোকনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্ধীতা হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী ৩ জন। সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আবছার ও যুবলীগ নেতা আজগর আলীর মধ্যে মুল লড়াই হবে।