পেকুয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃকক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং ইউপি নির্বাচনে ৫ টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্টু গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য এ সব ভোটকেন্দ্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা তৈরীর জোরালো দাবী উঠেছে। ৫ টি কেন্দ্রের সবকটিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান ভোটাররা।
এ দিকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হবে। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র ৩ দিন বাকী। এতে করে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে উম্মেদনা বেড়ে গেছে। প্রচার প্রচারনায় টইটংয়ের নির্বাচনী মাঠ এখন সরগরম। পেকুয়া উপজেলায় একমাত্র টইটং ইউপিতে ভোট হচ্ছে। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে টইটং সরগরম। প্রতিদিন একাধিক সমাবেশ হচ্ছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের। মূল প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হচ্ছেন দুইজন। তারা দুইজন টইটংয়ের হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী। নৌকার মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসলেম উদ্দিনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন,জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী আচরণ বিধিও ভঙ্গ করছেন ওই প্রার্থী। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যে নুরুল আমিনসহ কয়েকজন প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্গন করার অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন ১৫ সেপ্টেম্বর পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। তিনি জাহেদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম মোসলেম উদ্দিনও আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ উত্তাপন করেন।
সুত্র জানায়, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে জাহেদুল ইসলামের সমর্থনে সড়কে মিছিল ও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে। ওই মিছিল ও শোভাযাত্রায় বহিরাগত লোকজন অংশ নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার প্রত্যেক প্রান্ত থেকে দাগী, ফেরারী ও পেশীশক্তির লোকজন ওই মিছিলে জড়ো ছিল। তারা মূলত স্থানীয় ভোটার ও প্রার্থীদের ভীতি ও আতংক ছড়াতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মিছিলে অংশ নিয়েছে।
এব্যাপারে টইটংয়ের ভোটারদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, আমরা ভোট নিয়ে শংকিত রয়েছি। প্রশাসন আশ্বস্থ করেছেন। এরপরেও এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে মনে হচ্ছেনা আসলে সুষ্টু ভোট হবে কিনা। চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম মোসলেম উদ্দিন, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
১৬ বৃহষ্পতিবার সেপ্টেম্বর রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদনপত্র প্রেরণ করেন। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন,৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন। ক্রমান্বয়ে আরো ২টি কেন্দ্রও ঝুঁকিতে রয়েছে। টইটং উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশেমুল উলুম নুরানী মাদ্রাসার অবস্থান হবে ১চেইনের মধ্যে। এ ২টি কেন্দ্র জাহেদ চেয়ারম্যানের বাড়ির লাগোয়া।
এ ২টি কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব বিস্তার হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বনকানন এশাতুল উলুম মাদ্রাসা, বটতলী শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্রসহ ৭ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রটিও ঝুঁকিপূর্ন। সে দিন প্রশাসন সুষ্টু ভোটের জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন। জনগন প্রশাসনের কর্তাদের প্রতিশ্রুতি ও বক্তব্যকে স জানিয়েছিলেন।
আমরা জনগনের পক্ষে সুষ্টু ভোট চাই। পেকুয়ায় আর কোন ইউনিয়নে ভোট হচ্ছেনা। জনগন প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করনের পক্ষে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হউক। প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব অর্পণ করা হউক। আমরা সুষ্টু ভোটের জন্য শক্তিশালী নির্বাচনী নেটওয়ার্ক গঠনের জোরালো দাবী করছি।