পেকুয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় নেশার টাকা না পেয়ে অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে পাষন্ড স্বামী। গৃহবধূর নাম মোসাম্মৎ রোকসানা (২৩)। সে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামের শফিউল আলমের স্ত্রী। গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,পেকুয়া সদরের গোঁয়াখালী বটতলীয়াপাড়া গ্রামের আমিরুজ্জামানের মেয়ে মোসাম্মৎ রোকসানার সাথে একই ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে শফিউল আলমের সাথে বিগত ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৬ মাস পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। গৃহবধূর ভাই মুজিব জানান, আমার বোনকে নেশাগ্রস্ত স্বামী প্রায় সময় নেশার টাকার জন্য মারধর করে আসছিল। এ নিয়ে সমাজ সর্দার মনজুর আলমকে অবহিত করা হয়। বোনের শ্বশুর/শ্বাশুড়ী মিলে দেড় ভরি স্বর্ণ বিক্রি করে ফেলে। গৃহবধূর মা খতিজা বেগম জানান, কয়েক বছর ধরে জামাই বিপদগ্রস্ত হয়েছে। সে প্রায় সময় মাদকাসক্ত থাকে। মাদকের টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত মারধর করে। মেয়ে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা। জামাই শফি আলম তার মায়ের প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় জামাই কর্তৃক আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূর আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাফুজ জানান, গৃহবধূ অন্তঃস্বত্তা। তাকে চেকআপের পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।