পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের ছোট ভাইকে কোপানোর ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যার পেকুয়া থানার মামলা নং ১৩/২১।
২৫ আগষ্ট রাতে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই জুনায়েত ইসরাক চৌধুরী বাবু বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।পেকুয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মজুমদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মৃত ছদর উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলাম (৪০),নুইন্যার পাড়া গ্রামের আহমদ কবিরের ছেলে ও আনসার সদস্য মোজ্জাম্মেল হক (২৪) হেলাল উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বাদশা (৫০), মৌলভী জহির উদ্দিনের তিন ছেলে জালাল উদ্দিন (৩০), জসিম উদ্দিন (৩৮), ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুকন উদ্দিন (৩৬), আকতার হোছেন এর ছেলে মো.মিয়া (৩৪),মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মো.ছলিম (৪৮), ছাবের আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩০), আকতার হোছেনের ছেলে আকিব মিয়া (২৪), মৃত জিল্লুল করিমের ছেলে ইকবাল (৩৮), মো.ছলিমের ছেলে আরফান (২৮),সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেমের দুই ছেলে আরমান (১৪) ও আরিফ (১৮)। এছাড়া মামলায় আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আরমান চট্টগ্রাম শহরের দিলোয়ারা জাহান স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও আরিফ নাসিরাবাদ সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। মামলার উল্লেখিত আসামীরা মগনামা ইউনিয়নের মুহুরী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সুত্রে জানা গেছে,গত ২৪ আগষ্ট সকালে এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও তার মামাতো ভাই আরফাত উদ্দিন (৩৪) একটি মোটর সাইকেল যোগে পেকুয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়না দেন। ব্যাঙখোয়াল ঘোনার উত্তর পার্শ্বে চলাচল রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ৭/৮ জনের লোকজন তাদের গতিরোধ করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
মামলার বাদী জুনায়েত ইসরাক চৌধুরী বাবু জানান, তার ভাই এনায়েত উল্লাহ একজন সরকারী চাকুরীজীবি এবং নম্র,ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির লোক। মমতাজের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী তার ভাই ও মামাতো ভাইয়ের উপর বর্বর আক্রমণ চালানো হয়েছে।
সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম জানায়, আমার দুই ছেলেকে দুইটি মামলায় আসামি করেছে। দুইজনই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। তারা চট্টগ্রাম শহরে থেকেও আসামি হয়েছে। পুলিশ বাদি মামলায় স্ত্রী,ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিকেও আসামি করেছে। আল্লাহ একজন আছেন। ওনি সবকিছু দেখছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলাম জানায়, একসপ্তাহ ধরে ঢাকায় আছি। দুইটি মামলায় আমাকে ১নং আসামি করা হয়েছে। মামলা যেহেতু হয়েছে, আইনি মোকাবেলা করবো। ওয়াসিম চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমাদের চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে মাছ লুট করেছে তার ক্যাডাররা। পুলিশ ওয়াসিমের টাকায় আওয়ামী নিধনে নেমেছে। রাতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ আমার ঘর ভাংচুর করেছে। পুলিশের সাথে পাবলিকও ছিল।
মগনামা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো.রোকন জানায়, একটি মামলায় আমার স্ত্রীকে আসামি করেছে। এখন দেখছি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের মামলায় আমাকে করা হয়েছে।আমাদের চিংড়িঘের থেকে মাছ লুট করেছে। পুলিশ ওয়াসিম চেয়ারম্যানের গোলাম। টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে পুলিশ। রাতে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে বাড়ি ভাংচুর করছে।
প্রসঙ্গত ২৪ আগস্ট সকালে ছাত্রলীগ নেতা মমতাজ ও যুবলী নেতা রোকনের মালিকানাধীন মগনামা ব্যাঙখোয়াল ঘোনা থেকে মাছ লুটের ঘটনায় চেয়াম্যান অনুসারী ও মুহুরীপাড়া গ্রামবাসিদের মারপিট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কয়েকরাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।