পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃদীর্ঘ ১৬বছর ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সদর ইউপির ব্রাক অফিস সড়কটির। ইট ওঠে গিয়ে খানাখন্দকে ভরপুর। গাড়ি চলাচলও থেমে গেছে গ্রামীন জনগুরুত্বপুর্ন এ সড়কটিতে। অবশেষে একটু সংস্কারের পরশ পেল কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার অবহেলিত ব্রাক অফিস সড়ক। নিজ অর্থায়নে সংস্কার করলেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার ব্রাক অফিস সংলগ্ন প্রায় ১কিলোমিটারের সড়কটি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সংস্কার বঞ্চিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সড়কটি ব্রাক অফিস সড়ক নামে পরিচিত। উন্নয়নের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিকরা। আঁকাবাকা এ সড়কটির বেহাল অবস্থা চোখেও পড়েনি কারো। অথচ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ।
জানাগেছে,২০০৪ সালে সড়কটিতে ইট বসানো হয়েছিল। ওই সময় থেকে আর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কের ওপর অসংখ্য ছোট বড় গর্ত, আবার কোন কোন স্থানে ইট নেই। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অতি কষ্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে।
স্থানীয় আবুল কাশেম, জাকের, বেলালসহ অনেকে বলেন, আমাদের এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতি ও রাজনৈতিক নেতারা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,সদর ইউপির চেয়ারম্যান প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সহ উচ্চ মহলের রাজনৈতিক নেতারা। ডজন খানেক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে এই এলাকা গঠিত হলেও কারোই নজরে আসেনি এই সড়কটি।
স্থানীয়রা জানায়,পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ও প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুুল করিম এই এলাকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে কয়েক দফায় প্রতিনিধি নির্বাচিত। অথচ সড়ক পুনঃনির্মাণ করাতো দুরের কথা, সড়কটির ভাঙা অংশের সংস্কার কাজও করতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। হাজারো শিক্ষার্থী এই ভাঙা সড়ক দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলে সড়কের বড়সড় গর্তে পড়ে নানা দূর্ঘটনা ও ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরমান বিন কাশেম বলেন, রাজনৈতিক বীজতলা বলে পরিচিত আমাদের ওয়ার্ড। উপজেলার রাজনৈতিক নেতাদের দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে। কিন্তু উন্নয়নের দিকে অনেক পিছিয়ে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই সড়ক নিয়ে কষ্টে দিন পার করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে হাজার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কেউ ফিরে থাকায়নি। একটা রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হিমশিম খেতে হয় সবাইকে। শেষমেশ আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাগব করার জন্য কামরান জাদিদ মুকুট ভাই সড়কের ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ শুরু করেন। আমরা সে জন্য ওনার কাছে কৃতজ্ঞ।
কামরান জাদিদ মুকুট বলেন,পেকুয়া উপজেলার অন্যান্য গ্রামের তুলনায় শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকাটি খুবই অবহেলিত। এত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা থাকা সত্ত্বেও এই অবহেলিত সড়কটি কেউ সংস্কার করেননি। এলাকাবাসীর দুঃখ-কষ্ঠ কিছুটা হলেও লাগব করতেই মূলত আমার এই উদ্যোগ।