টানা চারদিনের ভারী বর্ষনে দিশেহারা গ্রামবাসি। একদিকে বর্ষন অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। পুরো উপজেলা প্লাবিত। চারদিকে অথৈ পানি।প্রায় প্রতিটি বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে। গ্রামীন সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ। কেউ নৌকা আবার কেউ সাঁতরিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। বেশিরভাগ পরিবারে চুলায় আগুন নেই। পানি ও গৃহবন্দী সাত ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বলতে গেলে এক দুর্বিসহ সময় যাচ্ছে বানবাসির। এলাকাবাসির এমন দুর্দিনে ঘরে বসে থাকতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে নৌকা নিয়ে বানবাসির ঘরে ঘরে গিয়ে তুলে দিচ্ছেন ত্রান সামগ্রী।
শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের পেকুয়ায় গৃহবন্দী ও অসহায় ১৩শ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিলি করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম। তিনি নৌকা যোগে গ্রাম থেকে গ্রামন্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান তুলে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি এসব ত্রান বিলি করেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের এ নেতা।
অপরদিকে বসে থাকেনি মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারাও। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক ওসমান ছরওয়ার বাপ্পি তার ব্যক্তিগত উদ্যেগে প্রায় পনের শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিলি করেছে। এদিন তিনি নৌকা যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক আযাদও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আদনানের নির্দেশনায় শতাধিক দুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিলি করেছেন। সামাজিক যোযাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে কোমর পানিতে ত্রানের প্যাকেট কাঁধে বিলি করতে দেখা গেছে। কাল শনিবারও ত্রান বিলি করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের এ নেতা।
ত্রান পেয়ে বৃদ্ধা ফুলতাজ বেগম বলেন, আমরা আজকে ৪ দিন ধরে গৃহবন্দী অবস্থায় আছি। রান্না ঘরের চুলায় আগুন দিতে পারিনি। খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। আমরা একটা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করছিলাম সেই কি বেঁচে আছে? ভোট আসলে দেখা যায়। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি।
এদিকে বন্যাদুর্গত ৭শ পরিবারকে রাতের খাবার খাওয়ালেন সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানপুত্র এড.রাশেদুল কবির। তিনি এলাকার পানিবন্দী মানুষের জন্য নিজ উদ্যেগে এসব দুর্গত মানুষদের জন্য খিচুড়ির আয়োজন করেন।